সংযুক্ত আরব-আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির পৃষ্টপোষক মঈনুল ইসলামের ছেলের সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০১৯

সংযুক্ত আরব-আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির পৃষ্টপোষক  মঈনুল ইসলামের ছেলের সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠিত

ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::  বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সংযুক্ত আরব-আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটির পৃষ্টপোষক মঈনুল ইসলামের একমাত্র ছেলে সুলতান আহমদের সুন্নতে খতনা (মুসলমানী) আয়োজন করা হয়।

শনিবার দুপুরে নগরীর বাগবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।

আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বার আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. হোসাইন আহমদ, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম ইছন, সৈয়দ মাছুম আহমদ, এড.ইমরান আহমদ, এড.আলী শাহান, এড. রেজাউল করীম খালেদ, মনোয়ার হোসেন, শামসুন্নাহার বেবী, আব্দুল কাইয়ুম মুন্না, আলী হোসেন, ফুরকান আহমদ, জিয়াউর রহমান সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, আরবি শব্দ খতনা বাংলাদেশের  মুসলমানদের মুসলমানি বলে পরিচিত। মুসলিম সমাজে শত শত বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি যা এটি একটি মহান সুন্নত। যুগে যুগে বড় বড় নবী-রাসুলও এ সুন্নত পালন করেছেন।

সর্বপ্রথম এ সুন্নত পালন করেছেন হজরত ইবরাহিম (আ.)। হজরত সাইদ ইবনে মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত, হজরত ইবরাহিম (আ.) হলেন খতনার সুন্নত পালনকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৬৪৬৭)

কোরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে যে, স্মরণ করো, যখন ইবরাহিম (আ.)-কে তাঁর রব কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করেন।

তিনি বলেন, আমি তোমাকে মানুষের জন্য নেতা বানাব। সে বলল, আমার বংশধরদের থেকেও? তিনি বলেন, জালিমরা আমার ওয়াদাপ্রাপ্ত হয় না। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৪)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) ইমাম আবদুর রাজ্জাক (রহ.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, ইবরাহিম (আ.)-এর পরীক্ষাগুলোর মধ্য থেকে একটি শারীরিক পরীক্ষা হলো খতনা করা। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ১/৪০৬)

অনেক হাদিস শরিফে সুন্নত পালনের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফিতরাৎ, অর্থাৎ মানুষের জন্মগত স্বভাব পাঁচটি—খতনা করা, নাভির নিম্নদেশে ক্ষুর ব্যবহার করা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ খাটো করা। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৮৮৯)

0Shares