
‘নবান্ন’ নামেও পরিচিত, নতুন ফসলের আগমন উপলক্ষে পালিত এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী নাচ, গান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। এই উৎসবের মাধ্যমে গারোরা দেবতাকে নতুন ফসল উৎসর্গ করেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের গারো টিলায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে যোগ দিতে শ্রীমঙ্গল ও আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গারোরা আজ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ফুলছড়া গারো লাইনে হাজির হন। তাদের সঙ্গে অন্যান্যরাও উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে কৃষিজমি থেকে সংগ্রহ করা নতুন ফসল একটি বৃত্তে সাজানো ঝুড়িতে রাখা হয়।
উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল প্রার্থনা, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। নাচ ও গানের মাধ্যমে ফসল কাটার বিভিন্ন ধাপ তুলে ধরা হয়।
উৎসবের প্রধান অতিথি শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসলাম উদ্দিন সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ওয়ানগালা উৎসবকে এক কথায় সম্প্রীতির মিলনমেলা।’
ওয়ানগালা উৎসবে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত গারো সম্প্রদায়ের নৃত্যশিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেন। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানস্থলের আশেপাশে নানান খাদ্যসামগ্রী, বস্ত্রসহ বিভিন্ন মেলা বসে।
উৎসবের আয়োজক কমিটির সভাপতি অনুপ চিসিম বলেন, ঐতিহ্য অনুযায়ী, নতুন ফসল তোলার পর বর্ষার শেষে এবং শীতের শুরুতে এই উৎসব পালিত হয়। এর আগে, নতুন শস্য খাওয়া থেকে বিরত থাকেন গারোরা।’
নতুন ফসল কাটার পর গারো সম্প্রদায় দেবতা ‘মিসি সালজং’এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। এই উৎসবের মাধ্যমে দেবতার কাছে নতুন ফসল উপভোগের অনুমতি চায় তারা।