রাজধানীর চকবাজারে আগুনের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের মরদেহ উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চলছে।
ফায়ার সার্ভিস পরিদর্শক মো. আনোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আনোয়ার। তিনি বলেন, আমরা দোতলায় ৬ জনের মরদেহ পেয়েছি। আরও মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।
নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. শরিফ (১৫), মো. বিল্লাল (৩৫), মো. স্বপন (২২), মো. ওসমান (২৫)। অপর দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এর আগে, ফায়ার সার্ভসের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেই বরিশাল হোটেলের পাঁচ কর্মী ভেতরে ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে কজন বের হতে পেরেছেন তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
হোটেলকর্মী মো. ওসমান ও মো. বিল্লাল নামে দুজন নিখোঁজের কথা জানিয়েছিলেন তাদের স্বজনরা। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।

নিখোঁজ ওসামানের খালাতো ভাই মো. রুবেল বলেছিলেন, যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটির নিচ তলায় বরিশাল হোটেলে কাজ করত ওসমান। রাতে কাজ করে ওই ভবনের দুই তালায় ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু আগুন লাগার পরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একাধিকবার তার ফোনে কল করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেছিলেন, আগুন লাগা ভবনটির দোতলায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা মানুষের হাড়ের মতো কিছু জিনিস দেখতে পেয়েছি।
মো. আব্দুল্লাহ নামের আরেকজন বলেছিলেন, মো. বিল্লাল (৩৩) নামে তার দুলাভাইও নিখোঁজ। তিনিও বরিশাল হোটেলে কাজ করতেন। গত রাতে নাইট ডিউটি শেষে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। আগুন লাগার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে লাগা আগুন প্রায় ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে দাবি করেছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তারা বলছেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন শুরুতে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে যায়। সেখানে আরেক দফা বিস্ফোরণের পর প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় আগুন লাগে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *