ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: শিক্ষার্থীদের একবিংশ শতাব্দীর প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের আহবান সিলেটে আমেরিকান পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং আমেরিকান দূতাবাস, ঢাকার সার্বিক ত্তত্বাবধানে পরিচালিত ইংলিশ এক্সেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রাম এর সেন্টার পরিদর্শন করেছেন আমেরিকান দূতাবাস, ঢাকার শার্জে দ্যাফেয়ার হেলেন ল্যাফেভ।
বুধবার বিকেলে জিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত সিলেট নগরীর আল হামরায় অবস্থিত এ লার্নিং সেন্টার তিনি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি এক্সেস প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের শিক্ষামূলক নানা কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হেলেন ল্যাফেভকে স্বাগত জানান ইংলিশ এক্সেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রাম-এর সিলেটের কো-অর্ডিনেটর এবং ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট-এর এলমনাই প্রণব কান্তি দেব। এরপর এক্সেস প্রোগ্রামের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা এসময় এক্সেস এর অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনার পর অতিথির বক্তব্যে হেলেন ল্যাফেভ বলেন, এক্সেস প্রোগ্রাম এর শিক্ষার্থীরা অমিত সম্ভাবনাময়। সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে তারা এগিয়ে যাবেই। তিনি বলেন, বাস্তব জীবন ভিত্তিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। হেলেন আরো বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিযোগিতাময় বিশ্বের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ইংরেজি ভাষা, প্রযুক্তি ও নেতৃত্বগুনের বিকাশের পাশাপাশি একবিংশ শতাব্দীর শতাব্দীর সকল দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে আমেরিকান সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, ইংরেজি অর্থনীতির ভাষা,ইংরেজি গ্লোবাল ভাষা, এবং এক্সেস এক অপরচুনিটির নাম। যেখান থেকে জ্ঞান অর্জন করে এক্সেস এর শিক্ষার্থীরা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি পারস্পরিক সহনশীলতা এবং সৌহার্দ্যবোধ চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এক্সেস এর শিক্ষক সুমিতা দাশ এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রোকাইয়া বিনতে মোর্শেদা ও রিচি চক্রবর্তী। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় এক্সেস শিক্ষার্থী জয়িতা জেহেন প্রিয়তী, অদিতি ধর অন্না, আফসার হোসেন, হাকিমুল ইসলাম অভি, রোহিত দত্ত চৌধুরী, রিহা আক্তার চৌধুরী, ত্রিপর্ণা দেব,অর্না রায়, প্রান্তিক সিনহা এবং নাফিসা কাওলিন সিগমা। অনুষ্ঠানে এক্সেস প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এক্সেস প্রোগ্রাম ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অনেক উদ্যোগের অন্যতম, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনগণের সাথে জনগণের এবং শিক্ষাবিষয়ক সম্পর্কগুলো জোরদার ও সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে শিক্ষার মানবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী শিক্ষার সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের ক্ষমতায়ন করা হয়। এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় সিলেটের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার ৪০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। জিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন সিলেটে এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *