অবশেষে অক্সফোর্ডের বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানীরা মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগে সাফল্য

প্রকাশিত: ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২০

অবশেষে অক্সফোর্ডের বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানীরা মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগে সাফল্য

এবার করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে মানবদেহের এ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর নিরাপদে শরীরে এন্টিবডি ও শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করছে। প্রাথমিকভাবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানীরা মানবদেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগে সাফল্য দেখেছেন। মানবদেহে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর নিরাপদে শরীরে প্রবেশ করে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি সিস্টেম) বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই ভ্যাকসিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০টিরও বেশি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে এরই মধ্যে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তুলনামূলকভাবে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। এরই মধ্যে এটি পরীক্ষামূলক প্রয়োগের চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে গেছে।

সোমবার ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপদ বলে বোধ হচ্ছে। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষা প্রয়োজন।

বিবিসি জানিয়েছে, ১ হাজার ৭৭ জনের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে তাদের শরীরে এন্টিবডি ও শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করছে। তবে সংক্রমণের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এটি যথেষ্ট কিনা তার জন্য বড় আকারের পরীক্ষা চলছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, গবেষণায় দেখা গেছে যে, অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন প্রয়োগের ১৪ দিন পর মানুষের দেহে শ্বেত রক্তকণিকা বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর ভ্যাকসিন প্রয়োগের ২৮ দিন পর বাড়ছে অ্যান্টিবডি। তবে বেড়ে যাওয়া এই অ্যান্টিবডি ও শ্বেত রক্তকণিকা কতদিন মানুষের শরীরে টিকে থাকে-সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। কারণ এ জন্য আরও বড় পরিসরে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রয়োজন আছে।

ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের সরকার ১০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন নিতে অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ দিকে এই ভ্যাকসিন সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা অগ্রাধিকার পাবে। এরপর ধীরে ধীরে তা বিশ্বব্যাপী সহজলভ্য হবে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা ছড়িয়েছে সারা বিশ্বেই।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ