‘৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলেন জিয়া : ওয়েবিনারে বক্তারা

প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২০

‘৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলেন জিয়া : ওয়েবিনারে বক্তারা

আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন, ‘৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আয়োজিত ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশ ও কিছু অজানা কথা’ শীর্ষক বিশেষ ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস ইতিহাস লেখা হয়েছিল। ঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্য, আতীয়-স্বজন এবং বাসায় কর্মরত কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীরা। এই নির্মম ঘটনার পর কেমন ছিলো বাংলাদেশ? ‘৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের কথা তুলে ধরতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজন করেছিলো এই ওয়েবিনারের।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিবছর এই দিনটি শ্রদ্ধা ভালোবাসায় পালন করতাম। যেভাবে আমরা দিনটি পালন করতাম এবার এই কোভিড-১৯ এর সময়ে তা হচ্ছে না। কিন্তু যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না তাকে শ্রদ্ধাভাবে স্মরণ করছি। জাতির পিতা ১২টি বছর কারাগারের অন্ধকারের প্রকোষ্ঠে কাটিয়েছেন। তাঁর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার হাতে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছিলাম। দীর্ঘ ২১ বছর পরে সেই পতাকা ক্ষমতায় আসলো। এরপরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করলে জাতির পিতা হত্যা কান্ডের বিচার কার্য শুরু করা হয়। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, এরপর তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ছয় দফাকে আমরা সমর্থন দিয়েছিলাম। এরপরে বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীনতার ডাক দিলেন তখন আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়লাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাতের আলোতে রাজনীতি করতেন না, যা করতেন দিনের আলোতে । মানুষকে সাথে নিয়ে করতেন। এক দু’জন মানুষ না, তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতেন।
ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে এবং তার আদর্শে দেশ গড়ার মহান ব্রতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যেন জাতীয় শোক দিবসের পরিবেশ বিনষ্ট না হয় এবং আওয়ামী লীগের চিরায়ত ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে যদি দেশে ফিরে না আসতেন তাহলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতো না। তাহলে কোনদিন ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার হতো না।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের মুখপত্র ‘উত্তরণ’-এর সম্পাদক নূহ-উল-আলম লেনিন ও শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা, ১৫ আগস্ট, ২০২০ (বাসস)

0Shares