প্রকাশিত: ১০:০১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::নেশার টাকা না দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পিতা মাহমুদ আলীকে (৬২) শারীরিকভাবে মারধর ও বিভিন্নভাবে অপমান করে আসছিলেন ছেলে সুমন মিয়া (২৫)। গ্রামবাসী একাধিকবার সালিশ করলেও ছেলে মারধর বন্ধ করেননি। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় নেশাখোর ছেলে আবারও বাবাকে নির্যাতন করলে মনের দুঃখে রাস্তায় গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নির্যাতিত মাহমুদ আলী। এলাকাবাসী তা দেখে তাকে রক্ষা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের জামিরকোনা গ্রামে। এ ঘটনার পর নেশাগ্রস্ত ছেলে সুমন মিয়া রাতেই বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জামির কোনা গ্রামের মাহমুদ আলী একজন দরিদ্র কৃষক। কৃষিকাজ করে তিনি সংসার চালান। ছেলে সুমন মিয়া লেখাপড়া বাদ দিয়ে নেশায় জড়িয়ে পড়ে। বাবা মাহমুদ আলী ছেলেকে শাসন করলে তার স্ত্রী ও ছেলে মিলে মারধর করেন। দীর্ঘদিন ধরে ছেলের এমন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী একাধিকবার সালিশ করলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। প্রতিনিয়ত নেশার টাকার জন্য বাবাকে নানাভাবে নির্যাতন করেন বখাটে ছেলে সুমন মিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ছেলে সুমন মিয়া নেশার টাকার জন্য পিতা মাহমুদ আলীকে মারধর করলে মনের দুঃখে রশি নিয়ে গিয়ে আদমপুর সড়কের একটি গাছের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার প্রস্তুতি নেন মাহমুদ আলী। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে এ ঘটনা এলাকাবাসীর চোখে পড়লে তারা মাহমুদ আলীকে আত্মহত্যার পথ থেকে রক্ষা করেন।
অপমানিত পিতা মাহমুদ আলী বলেন, ‘ছেলে আমাকে তার মায়ের সহযোগিতায় প্রায়ই মারধর করে। তাই কষ্টে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুপেন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, ‘ছেলেটা খারাপ। বাবাকে মারধর করার বিষয়ে একাধিকবার বিচার করা হয়েছে।’
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরণের কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech