অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলায় হয়রানির শিকার জিলু মিয়া

প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২০

অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলায় হয়রানির শিকার জিলু মিয়া

জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জিলু মিয়ার
অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলায় ও বোনের বাড়ির দখল ছেড়ে দিতে বলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কালাম্বরপুর গ্রামের আলখাছ মিয়ার ছেলে জিলু মিয়া।
গতকাল সোমবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন জিলু মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে জিলু মিয়া বলেন, ‘খালেদা বেগম ও তাদের সহযোগীদের অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র আক্রোশ থেকে এবং ফায়দা হাসিলের জন্য তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। আমার বোনের বাড়িতে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়াই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁিড়য়েছে। তাদেরকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলায় তারা আমার ও আমার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে। এছাড়া কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের মানহানি করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জিলু মিয়া বলেন, ‘প্রবাসি অধ্যুষিত জগন্নাথপুর এলাকায় আমাদের প্রবাসি আত্মীয় স্বজনদের অধিকাংশ বাড়িঘর তালাবদ্ধ থাকে। দেশে আসলে তারা তাতে বসবাস করেন। আমার বড় বোন পিয়ারা খানম, স্বামী মনাফ মিয়া কালাম্বরপুর গ্রামে তাদের বাড়িঘর আমাকেই দেখাশোনা করতে হয়। গত কয়েক মাস আগে কালাম্বরপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ মিয়ার পুত্র জামাল মিয়া তার মা ও বোনকে নিয়ে আমার বোনের বাড়িতে থাকার জন্য আমার কাছে আশ্রয় চায়। আমি সরল বিশ্বাসে যুক্তরাজ্য বসবাসরত আমার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে থাকার জন্য আশ্রয় দেই। বাড়িতে থাকাকালিন সময়ে আমরা লক্ষ্য করি গ্রামের কতিপয় দুষ্টুপ্রকৃতির লোক এ বাড়িতে আসা-যাওয়া করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এদিকে দু’মাসের স্থলে ৮ মাস হতে চললেও বাড়ি ছাড়ার কোনো লক্ষণ নাই। এছাড়া জামালের বোন খালেদা আমার বোনের বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়। যে কারণে আমি তাদেরকে বাড়ি ছাড়ার জন্য জামালের চাচাতো ভাই মাছুম আলী, তৈয়বুর রহমান, রুফ মিয়া ও চাচা দুলা মিয়াকে অনুরোধ করি। কিন্তু তারা বাড়ি ছাড়তে রাজি হয়নি। উল্টো আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।’
জিলু মিয়া বলেন, ‘কালাম্বরপুর গ্রামের সুবিধাভোগী ফেরদৌস খান, আবু বকর খান, ইব্রাহিম খান, ফিজুর রহমান খান, শফিকুর রহমান খান, সমুজ খানদের সহযোগিতায় জামাল মিয়া তার মা ও বোনসহ সবাই মিলে বিভিন্ন অপ্রর্কম চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় এই চক্র বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা আমার বোনের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা পেলে তারা বাড়ি ছাড়বে বলে জানায়।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘টাকা না পেয়ে জামাল তার বোন খালেদা বেগমকে দিয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ দেয় মানবাধিকার সংস্থায়। একই সঙ্গে গত ৫ অক্টোবর জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবরে ১১ অক্টোবর একটি অভিযোগ দেয় খালেদা বেগম। এতে চরম মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়। অকৃতজ্ঞ খালেদা বেগম তার অভিযোগে উল্লেখ করেছে আমার ছেলে সহিদা মিয়া আমার গ্রাম সম্পর্কে ভাতিজা তৈবুর রহমান ও রশিদ মিয়া নাকি তাকে ধর্ষণ করেছে এবং তাদেরকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। আসলে এ অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
সংবাদ সম্মেলনে জিলু মিয়া বলেন, ‘আমার বোনের বাড়িতে তাদেরকে আশ্রয় দেওয়াই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁিড়য়েছে। তাদেরকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলায় তারা আমার ও আমার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। খালেদা বেগম ও তাদের সহযোগীদের অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র আক্রোশ থেকে এবং ফায়দা হাসিলের জন্যই তারা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।’ তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান জিলু মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে জিলু মিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে শেখ জাহিদুল ইসলাম রাফি। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।

0Shares