প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২০
ডায়ালসিলেট::
সাক্ষী উপস্থিত থাকলেও আসামিদের আদালতে হাজির না করায় সিলেটে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখ ছিল বুধবার।
আদালত সূত্র জানায়, মামলায় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সাক্ষী হিসেবে সিলেটের মদনমোহন কলেজের প্রভাষক আবুল কাশেম আদালতে হাজির হন। কিন্তু মামলার আসামিদের আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত দুজন আসামি কারাবন্দি। এর মধ্যে সফিউর রহমান ফারাবী কাশিমপুর কারাগারে থাকায় তাকে সিলেট আদালতে হাজির করা হয়নি বলে আদালত পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত আসামিদের হাজির থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করবেন বলে জানিয়েছেন।’
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল মজিদ খান বলেন, ‘এ মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীসহ ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ বাকি আছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের কলাপাড়া এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত বিজয় দাশ। বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন অনন্ত।
হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কানাইঘাটের আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭) ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) পলাতক। কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০) ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫) কারাগারে আছেন। ফারাবী ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলারও আসামি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, গত বছরের ৭ মে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে বারবার পেছানো হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। দীর্ঘদিন সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলার পর স¤প্রতি মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech