প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যখন চোখ রাঙাচ্ছে, তখন বিশ্বখ্যাত ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মানভিত্তিক বায়োএনটেক কোম্পানিই প্রথম সুখবরটি দিল। অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষ যে অস্ত্রটি হাতে পেতে এত দিন উচাটন হয়ে ছিল, তা-ই ধরা দিল।
ভ্যাকসিন। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। ফাইজার যে ভ্যাকসিনটির ঘোষণা দেয়, তা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৯০ শতাংশ কার্যকর। এর পরপর আরেকটি ভ্যাকসিনের ঘোষণা দেয় মডার্না। কিন্তু প্রথম তো প্রথমই। আর এ প্রথম ভ্যাকসিনটি ধরা দিল এক নিবেদিত মুসলিম দম্পতির হাত ধরে।
ফাইজারের করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পুরো দায়িত্বে ছিলেন বায়োএনটেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান দম্পতি উগার শাহিন ও ওজলেম তুরেসি। এই দুই বিজ্ঞানী মূলত ক্যানসার সেল নিয়ে গবেষণার জন্য বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
করোনাভাইরাসের হানায় গোটা বিশ্ব থমকে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তারপর প্রকোপ কিছুটা কমে এলে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশ আবার সচল হতে শুরু করে। কিন্তু সেই স্বস্তির সময় পুরোপুরি আসার আগেই শুরু হয়ে গেল করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি। বাড়তে থাকল সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। আর দ্বিতীয় এই আঘাত থেকে বাঁচতে মানুষকেও আবার ঘরবন্দী হওয়ার বাস্তবতা মেনে নিতে হচ্ছে। এই সময়ে এমন একটি সুখবরের মূল্য অনেক।
ভ্যাকসিনটির ঘোষণা দেওয়ার সময় বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উগার শাহিন বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ফলে থমকে যাওয়া পৃথিবী আবার সচল হবে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে আসবে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পুরো দায়িত্বে ছিলেন বায়োএনটেক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান দম্পতি উগার শাহিন ও ওজলেম তুরেসি। এই মুসলিম দম্পতির মাত্র কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বায়োএনটেক কোম্পানিটি ইউরোপে খুব একটা পরিচিত না হলেও করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে বিশ্বখ্যাত হয়ে উঠেছে। ড. উগার শাহিন ও ওজলেম তুরেসি মূলত ক্যানসার সেল নিয়ে গবেষণার জন্য বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তার সাফল্যে সারথি স্ত্রী উজলেম তুরেসি। ২০০১ সালে জার্মানিতে দু’জনে গড়ে তোলেন গ্যানিমেড ফার্মাসিউটিক্যালস। এর পর ২০০৮ সালে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন তারা। ইউরোপের বাইরে প্রতিষ্ঠানটির তেমন পরিচিতি না থাকলেও ভ্যাকসিন আবিস্কারের খবরে রাতারাতি বিশ্বখ্যাত মুসলিম এই দম্পতি।
শাহিন-তুরেসি দুই জনই তুর্কি বংশোদ্ভূত। ছোট বেলায় আভিবাসী হিসেবে ইস্কেন্দেরুন থেকে পরিবারের সাথে জার্মানিতে পাড়ি জামান ৫৫ বছর বয়সী উগার শাহিন। আর ৫৩ বছর বয়সী স্ত্রী উজলেম তুরেসির জন্ম জার্মানিতেই। ১৯৯৩ সালে পিএইচডি গবেষণার সুবাদে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসাপাতালে দুজনের পরিচয়। তারপর ২০০২ সালে বিয়ে।
এই বিজ্ঞানী দম্পতি এতোটাই কাজ পাগল যে বিয়ের দিনও আনুষ্ঠানিকতা সেরে হাজির হয়েছেন ল্যাবে। তাদের দিনরাত গবেষণার সবচে বড় সাফল্য করোনার ভ্যাকসিন। তবে করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী বায়োএনটেকের প্রতিষ্ঠাতা উগার শাহিনের ব্যক্তিগত জীবন খুবই সাদামাটা। ব্যবহার করেন না কোন গাড়ি, থাকেন সাধারণ ফ্লাটে। ছুটতে পছন্দ শুধু কাজের পেছনে।
বায়োএনটেক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উগার শাহিন বলেন, এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস। তাই অনেকটা অন্ধের মতোই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করি। প্রথম দিকে খুবই চ্যালেঞ্জের ছিলো। ১০ মাসের মধ্যে সাফল্য ধরা দিয়েছে। যা আশানুরুপ খুব দ্রুত হয়েছে।
করোনা বড় পরিসরে ছড়ানোর আগে জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিনের গবেষণা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন যৌথভাবে উৎপাদনের জন্য চুক্তি করেছে বিশ্ববিখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। প্রতিষেধকটি মানব শরীরে ৯০ ভাগ কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech