প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সিলেটে তামান্না হত্যা মামলার মূল আসামি মামুনকে এখনো পর্যন্ত খোজে পাওয়া যায়নি। তবে মামুনের বোনের জামাই আটক করা হলে সে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ফুলদি এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ ফয়জুল হোসেন ফয়লার মেয়ে সৈয়দা তামান্না বেগম সিলেট নগরীর উত্তর কাজীটুলার এলাকার অন্তরঙ্গ ৪/এ বাসার দুতলার তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তামান্না ‘হত্যাকারী’ স্বামী আল মামুন পলাতক রয়েছেন।
এদিকে, গত (২৪ নভেম্বর) সোমবার রাতে তামান্নার ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা বাদি হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা (নং ৫৮) দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী মো. আল মামুনসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন- এমরান, পরভীন, মাহবুব , বিলকিস ও শাহনাজ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় আসামিদের ধরতে পুলিশ তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
অন্যদিকে, একটি সূত্রে জানা যায় তামান্নার স্বামী আল মামুন বর্তমানে বরিশালে আত্মগোপনে আছেন। মো. আল-মামুনের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার হোগলারচরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম নিয়ারচর এলাকায়। সেখানে তার মামার বাড়িও রয়েছে বলে জানা যায়।
মামুন তার এক বোন ও বোনের স্বামীসহ বসবাস করতো সিলেটে কাজীটুলা এলাকায়। সে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ আল-মারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্সের পরিচালক।
জানা গেছে, মামুন আগেও একটি বিয়ে করেছেন। সে স্ত্রীর বাড়িও ছিল বরিশাল জেলায় এবং তার আগের স্ত্রীর ১টি সন্তানও রয়েছে। মামুনের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি থানায় আগের স্ত্রীর দায়ের করা মামলাও রয়েছে। এসব বিষয় গোপন করে সে তামান্নাকে বিয়ে করে। এতে মামুনকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্সের শাহনাজ পারভিন নামের এক মহিলা কর্মকর্তা। সেই মহিলাকেও তামান্না হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। শাহনাজের মূল বাড়ি বরিশাল জেলায়। বর্তমানে শাহনাজকে ও মূল আসামী মামুনকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech