ইংল্যান্ডে করোনার ভয়াবহতায় আবারও লকডাউন, বাতিল বড়দিনের উৎসব

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২০

ইংল্যান্ডে করোনার ভয়াবহতায় আবারও লকডাউন, বাতিল বড়দিনের উৎসব

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বাড়তে থাকার প্রেক্ষিতে লন্ডনসহ ইংল্যান্ডের বিশাল অংশে লকডাউন সমতুল্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে কয়েক মিলিয়ন মানুষ বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন। বাতিল করা হয়েছে ক্রিসমাস উৎসব। শনিবার এক টেলিভিশনে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই ঘোষণা দেন।

আজ রোববার সকাল থেকে লন্ডন, সাউথ ইস্ট ইংল্যান্ড এবং ইস্ট অফ ইংল্যান্ড চার স্তরের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো নভেম্বরে ইংল্যান্ডে দেশব্যাপী জারিকৃত লকডাউনের বিধিনিষেধের সমতুল্য হবে।

চার স্তর বিশিষ্ট বিধিনিষেধ অঞ্চলের বাসিন্দাদের অবশ্যই সীমিত ছাড়সহ বাড়িতে থাকতে হবে। জরুরি নয় এমন পণ্য সামগ্রী বিক্রিকারী দোকানপাট এবং জিম বন্ধ থাকবে।

যতটুকু সম্ভব বাসা থেকে কাজ করা উচিত এবং বিধিনিষেধভুক্ত অঞ্চলগুলোতে প্রবেশ বা বাহিরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মসজিদসহ উপাসনালয় খোলা থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো দুই সপ্তাহ চলবে এবং আগামী ৩০ ডিসেম্বর পুনঃপর্যালোচনা করা হবে।

তবে এর আগের লকডাউন চলাকালীন সবার জন্য স্টে হোম অর্ডার জারি থাকবে। এছাড়া, জরুরি কাজ না থাকলে বিদেশ সফর না করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বড়দিনে বাসার বাইরে কোনো উৎসব বা সমাবেশ করা যাবেনা বলে ঘোষণায় জানিয়েছেন বরিস জনসন। তবে পারিবারিকভাবে দিনটি উৎযাপন করার কথা বলেছেন তিনি। এ সুযোগ থাকছে না নববর্ষের জন্য। থার্টি ফার্স্ট নাইটেও অন্যান্য দিনের মতো কড়াকড়ি জারি থাকবে।

বরিস জনসন বলেন, আমি জানি মানুষ বড়দিনে কত আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে পরিবার পরিজন নিয়ে উৎসব করার জন্য। এদিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়া কতখানি হতাশার তা আমি জানি। তবে আমাদেরকে এখন অবশ্যই বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। এবারের বড়দিন ভিন্ন হবে কারণ আমাদের বাস্তববাদী হওয়া জরুরি। এবারের বড়দিনে যদি আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিতে পারি তাহলে ভবিষ্যতের বড়দিন আরও মধুর হবে।

বক্তব্যের শেষে বরিস জনসন ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্যাকসিন গ্রহণের আহবান জানান। তিনি বলেন, ব্রিটেন পৃথিবীর প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছে। তাই যখন এনএইচএস কর্মীরা আপনাকে ফোন করবে, আপনারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন।

এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ তাদের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।

0Shares