চীনকে বড় ধরনের ধাক্কা দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২০

চীনকে বড় ধরনের ধাক্কা দিলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নেয়ার আগে ফের চীনকে বড়সড় ধাক্কা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিব্বত সংক্রান্ত একটি বিলে সই করে পরবর্তী দালাই লামা নির্বাচনে বেইজিংয়ের প্রভাব অনেকটাই খর্ব করে দিলেন তিনি।

কয়েকদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেস তিব্বত নীতি সহায়ক বিল পাস করেছিল। সেই বিলে স্বাক্ষর করে তা আইনে পরিণত করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই নয়া আইনে সাফ বলা হয়েছে, পরবর্তী দালাই লামা নির্বাচন করতে চীন বা অন্য কোনও দেশের অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন নেই তিব্বতিদের। নিজেদের পছন্দ মতো ধর্মগুরু বেছে নিতে পারবেন তারা।

কমিউনিস্ট আগ্রাসন এড়িয়ে সেই ১৯৫৯ সালে দলবল নিয়ে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন ১৪তম দালাই লামা। তারপর থেকে ধর্মশালায় থাকেন তিনি। কিন্তু বর্তমান দালাই লামাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখে চীন। কমিউনিস্ট দেশটির অভিযোগ, তিব্বতকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।

এনিয়ে বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে চাপানউতোর রয়েছে। ভারতে কমপক্ষে এক লক্ষ তিব্বতি রয়েছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও রয়েছেন কিছু মানুষ।

এই আইনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে চীনা দূতাবাস বাড়াতে গেলে সবার আগে তিব্বতের রাজধানী লাসায় মার্কিন দূতাবাস তৈরির ছাড়পত্র দিতে হবে দেশটিকে। দালাই লামা বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশের মতামত গুরুত্বহীন। তিব্বতের মানুষের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। মেধাবী তিব্বতি ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতে পারবেন। আমেরিকার এই পদক্ষেপে রেগে লাল চীন।

উল্লেখ্য, তিব্বত, হংকং ও তাইওয়ান নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে বরাবর সুর চড়িয়েছে আমেরিকা। তিব্বতের বাসিন্দাদের ওপর চীনের সরকার অকথ্য অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। এহেন টানটান পরিস্থিতিতে নভেম্বর মাসে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউসে ঘুরে এসেছেন তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান লোবসাঙ্গ সানগে। দীর্ঘ ৬০ বছর পরে হোয়াইট হাউসে তিব্বতের কোনও নেতার সফর জল্পনা উস্কে দিয়েছে। এই ঘটনার ফলে রীতিমতো ক্ষুব্ধ চীন। সব মিলিয়ে চীনকে ঘিরে ফেলতে চেষ্টায় খামতি রাখতে চাইছে না ট্রাম্প প্রশাসন।

0Shares