প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন গেরুয়া এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টায় পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা ছাত্রদের লক্ষ্য করে ৯ রাউন্ড গুলি করে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীরা এ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, কয়েক দিন আগে ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয় যুবকদের ঝামেলা হয়। ওই ঝামেলা মিটমাট করতে আজ বিকালে স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। আলোচনা চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গেরুয়া বাজারের একটি ভবনে আটকে রেখে মারধর করা হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অভিষেক মন্ডল, কার্যনির্বাহী সদস্য এলেক্সসহ তিনজন আহত হন। গ্রামের লোকজন শিক্ষার্থীদের পাঁচটি মোটরবাইক ভাঙচুর করে। এরপর রাত সাড়ে ৭টার দিকে গেরুয়া এলাকায় মসজিদের মাইকে মাইকিং করে স্থানীয়দের লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার আহ্বান জানানো হয়। ওই ঘোষণায় গ্রামবাসী গেরুয়া বাজারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বসবাসরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গেরুয়া ফটকে অবস্থান নেন। তারাও লাঠিসোঁটা, রড নিয়ে পাল্টা ধাওয়া দিতে থাকেন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলাকালে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা গেরুয়া বাজারে আটক আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেন। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেস ও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এর মধ্যে শুধু গেরুয়া এলাকায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী থাকেন। কয়েক শ’ শিক্ষার্থী বসবাস করেন বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন আমবাগান ও ইসলামনগর এলাকায়। সংঘর্ষের ঘটনার পরও গেরুয়া এলাকার মেস ও বাসাবাড়িতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আটকা আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় তাদের অনেকে ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে পোস্ট করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। পুলিশ আনার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। রাস্তায় সমস্যা থাকায় তাদের আসতে দেরি হচ্ছে।’
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech