প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২১
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক ::
বিশ্বব্যাপী বিতর্ক শুরু হলেও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকাই নেবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার নিরাপত্তা নিয়ে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের শঙ্কার মধ্যে বুধবার তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
টিকা নেওয়ার পর রক্তজমাট বাঁধায় কয়েকটি ঘটনা সামনে আসায় ইউরোপের বেশ কিছু দেশ সাময়িকভাবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকার ব্যবহার স্থগিত করেছে। তবে এ টিকার নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন পার্লামেন্টে নাকচ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। বরিস জনসন আইনপ্রণেতাদের বলেন, শিগগিরই আমি নেব। আর এটি অবশ্যই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার।
যুক্তরাজ্যে পরবর্তী ধাপে টিকা দেওয়ার জন্য যাদের ডাকা হবে, তাদের মধ্যে ৫৬ বছর বয়সী বরিস জনসন রয়েছেন। আগামী জুলাই মাস নাগাদ যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক সব মানুষকে টিকা দিতে চায় দেশটি।
যুক্তরাজ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। তার মধ্যে ১১ মিলিয়ন মানুষ পেয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে বিভিন্ন দেশ তার ব্যবহার স্থগিতের ঘোষণা দেয়। গত সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৃহত্তম তিন দেশ জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্স অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে এ দলে আরও যোগ দেয় স্পেন, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, লাটভিয়া।
তারও আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, নরওয়ে, বুলগেরিয়া, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড। ইন্দোনেশিয়াও এই টিকার ব্যবহার বিলম্বিত করছে। এই টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা থেকে দেশগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech