বারবার চরিত্র বদলাচ্ছে কোভিড

প্রকাশিত: ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২১

বারবার চরিত্র বদলাচ্ছে কোভিড

ডায়ালসিলেট ডেস্ক::কোভিডের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে মহামারির চরিত্র নিয়ে অনবরত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কোভিড-১৯ নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য সামনে এনেছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স। যাতে  দেখা যাচ্ছে, কোভিড আক্রান্তের একটা বড় অংশের মধ্যে কোনোরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যা দেখে প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ধারণ করা যায়। অর্থাৎ অজান্তেই লক্ষণহীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের মাধ্যমে করোনা নিঃশব্দে তার থাবা বিস্তার করে চলেছে সমাজে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স-এর সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গত ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে যে ৫৩ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে, তাদের বাইরে থেকে  দেখে বোঝার উপায় ছিল না তারা করোনার কবলে পড়েছে। এমনকি তাদের শরীরের ভাইরাসের পরিমাণ বেশি থাকলেও তার লক্ষণ বাইরে প্রকাশ পায়নি। বাকি ৪৭ শতাংশের দেহে অবশ্য প্রাথমিকভাবে রোগ নির্ধারণ করা গিয়েছিল।

কোভিড-১৯  রোগীদের বেশির ভাগের মধ্যেই ক্লান্তি, মাথাধরা, কাশির মতো লক্ষণ দেখা গেছে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স-এর বর্ষীয়ান পরিসংখ্যানবিদ সারা ক্রফটস জানাচ্ছেন, তাদের পরীক্ষায় উঠে এসেছে কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তিদের শারীরিক লক্ষণ। তিনি জানিয়েছেন, কোভিডের সাধারণ লক্ষণ হলো ক্লান্তি, মাথাধরা ও কাশি। ৫ জনের মধ্যে একজনের স্বাদ অথবা গন্ধ চলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। সারা ক্রফটস উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রায় অর্ধেক মানুষের দেহে ভাইরাসের প্রকোপ বেশি থাকলেও তাদের শরীরে  কোনোরকম লক্ষণই প্রকাশ পায়নি, যার অর্থ এই মানুষগুলো শরীরে ভাইরাস নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং অজান্তে তাদের দেহ থেকে ভাইরাস অন্য মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে। এই জন্য জনসংখ্যায় সংক্রমণের মাত্রা পরিমাপ করা এবং লক্ষণগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা অত্যাবশ্যক বলে মনে করছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স-এর মতো সংস্থা। মার্চে ৩৬ শতাংশ মানুষের মধ্যে কোভিডের সাধারণ লক্ষণ দেখা গিয়েছিল, ২৮ শতাংশের মধ্যে কাশির সমস্যা ছিল, ২০ শতাংশ জ্বরে কাবু ছিল এবং বাকি ১২ শতাংশের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। ১৪ শতাংশের স্বাদ এবং গন্ধ চলে গিয়েছিল, ৬ শতাংশ ডায়েরিয়া এবং পেটের সমস্যায় ভুগছিল। ল্যাবরেটরিতে যত তাড়াতাড়ি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে, তত তাড়াতাড়ি ভাইরাসের শক্তি এবং চরিত্র সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যত বেশি পরীক্ষা হবে তত বেশি মানবদেহে করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে কিনা তা জানা যাবে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাদ দিয়ে বিভিন্ন পরিবারে গিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। যাতে  দেখা গেছে কমিউনিটিতে প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ  কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তারা।

0Shares