প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২১
ডfয়ালসিলেট ডেস্ক::
করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শঙ্কামুক্ত তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানেয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার তিনি বলেন, কোভিডের পরিভাষায় ম্যাডাম এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে আছেন। আর কোভিডের সব বড় সমস্যা হয় দ্বিতীয় সপ্তাহেই। তাই এখনই শঙ্কামুক্ত তা বলা যাচ্ছে না। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ রাখা হবে।
তিনি জানান, শনিবার আবার মেডিকেল টিমের সদস্যরা গুলশানের বাসভবনে যেতে পারেন খালেদা জিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য।
এর আগে ডা. জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, সিটি স্ক্যানের মূল প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে করোনায় আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসাপত্রে আরেকটি ওষুধ যুক্ত করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
জাহিদ বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ম্যাডামের সিটি স্ক্যানের ফাইনাল রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। রাতেই লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, যিনি ম্যাডামের সব কিছু তদারকি করছেন, তিনিসহ দেশ-বিদেশে ওনার মেডিকেলে টিমের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আমরা পুরো রিপোর্টটি পর্যালোচনা করেছি। সবার পরামর্শ নিয়ে আরেকটি ওষুধ যুক্ত করা হয়েছে। চিকিৎসায় যেসব ওষুধ দেওয়া হয়েছে তা ঠিক আছে।
তিনি বলেন, সিটি স্ক্যানের ফাইনাল রিপোর্টে ‘মিনিমাম ইনভোলমেন্ট’র কথা বলা হয়েছে। যেটা সাময়িক রিপোর্টে বলা হয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ। আমরা সবাইকে জানাতে চাই যে, সিটি স্ক্যানের ফাইন্ডিংস, সেটাকে ক্লিনিক্যালি আমরা মনে করতে পারি যে এটি অত্যন্ত মিনিমাম, নেগলিজিবল।
দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়া দোয়া চেয়েছেন বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ।
বৃহস্পতিবার রাতে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। গুলশানের বাসা থেকে তাকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিশেষ নিরাপত্তায় এভারকেয়ারে নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে আবার গুলশানের বাসায় ফিরিয়ে আনা হয়।
১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার পর প্রখ্যাত ‘বক্ষব্যাথি ও মেডিসিন’ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিম গুলশানের বাসায় তার চিকিতসা শুরু হয়।
‘ফিরোজা’র বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়া আরো আটজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসাও এখানে চলছে।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়; শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech