মিরপুরে হাসল তামিম-সাব্বির-অংকনদের ব্যাট

প্রকাশিত: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ৭, ২০২১

মিরপুরে হাসল তামিম-সাব্বির-অংকনদের ব্যাট

ডায়ালসিলেট ডেস্ক : শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল রান বন্যায় ভাসবে শেরে বাংলা। পয়েন্ট তালিকায় আবাহনী ও মোহামেডানের পর তিন নম্বরে থাকা প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে বড়সড় স্কোর গড়ে তুলবে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। শেষ পর্যন্ত বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করাতে না পারলেও, দোলেশ্বরের সামনে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে শাইনপুকুর।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (১৬ বলে ২৫) আর সাব্বির হোসেন (১৯ বলে ৩৬) শুরু করেছিলেন ঝড়ের গতিতে। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট তথা ঘরোয়া আসরের অভিজ্ঞ ও সফল যোদ্ধা ফরহাদ রেজাকে বেদম মেরে শুরু করেন শাইন পুকুরের দুই তরুণ ওপেনার।

কিন্তু ৪.৩ ওভারে ৪৯ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর থেকেই রান গতি কমে যেতে থাকে। অফস্পিনার শামিম পাটোয়ারির বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আউট হন তানজিদ তামিম। বলের পেছনে শরীর না নিয়ে বড় শট খেলার চেষ্টা ব্যর্থ হয় বাঁহাতি তামিমের। আকাশে ওঠা ক্যাচ নিজের বলে নিজেই পিচের ৫ গজ দূরে দাড়িয়ে ধরে ফেলেন শামিম পাটোয়ারি।

এরপর সাব্বির আরও অল্প কিছুক্ষন উইকেটে থেকে কিছু বড় শট খেলেন, দুটি বিশাল ছক্কাও হাঁকান। কিন্তু ডানহাতি পেসার রেজাউর রহমান রাজার বলে পুল খেলতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন সাব্বির। তার ১৯ বলে খেলা ৩৬ রানের ইনিংসটি শেষ হবার পর থেকেই রান গতি স্লথ হয়ে যায়।

তারপরও হাল ধরেন রবিউল ইসলাম রবি আর মাহিদুল ইসলাম অংকন। রবি (৩৬ বলে ৩৪) সেভাবে হাত খুলে খেলতে না পারলেও, অংকন ৩২ বলে ৪৪ রানের এক আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন। সেই ইনিংসের ওপর ভর করেই ২০ ওভার শেষে ১৬২ (৭ উইকেটে) রানের লড়িয়ে পুঁজি পায় শাইনপুকুর।

ইনিংসের শেষ বলে তুখোড় ফিল্ডার শামিম পাটোয়ারির দারুণ ক্যাচের শিকার হন অংকন। ফরহাদ রেজার বলে তুলে মেরেছিলেন শাইন পুকুরের উইকেটকিপার কাম মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ডিপ মিড উইকেট থেকে অনেক দূর দৌড়ে শেষ মুহুর্তে সামনে শরীর ফেলে অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচ ধরে অংকনকে ফেরান শামিম পাটোয়ারি।

ম্যাচে ঐ একটি উইকেটই পেয়েছেন ফরহাদ রেজা। তার ৪ ওভার থেকে ৪৮ রান তুলে নিয়েছেন শাইন পুকুরের তরুন ব্যাটসম্যানরা। দারুন ক্যাচ লোফাই শুধু নয়, বল হাতেও নিজেকে মেলে ধরেছেন তরুন শামিম পাটোয়ারি। ৪ ওভারে ২১ রানে দুই উইকেট দখল করেছেন তিনি। এছাড়া পেসার রেজাউর রহমানও দুই উইকেট (৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে) শিকারী।

0Shares