শান্তিগঞ্জে চুরির অপরাধে কিশোরকে প্রহার

প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২১

শান্তিগঞ্জে চুরির অপরাধে কিশোরকে প্রহার

ডায়ালসিলেট ডেস্ক::সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াডুম্বুর গ্রামে জালচুরির অপবাদে এক কিশোরকে প্রহার করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত কিশোরের নাম রোমান মিয়া(১২)।

সে ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের আব্দুল বারিকের নাতী ও আমির আলীর ছেলে।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় উপজেলার ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের উত্তরে বরাউট হাওরে।

রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে আহত কিশোর রোমান মিয়ার মা বিলকিছ বেগম বাদী হয়ে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাদী কিলকিছ বেগম ও জমির হোসেন পূর্ব পরিচিত ও একই গ্রামের লোক।

বিলকিছ বেগমের আগের স্বামী আমির আলীর সঙ্গে সংসার ভেঙ্গে গেলে ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের জমির হোসেন কিলকিছ বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

বিলকিছ বেগম ২০১৯ সালে সৌদি আরবে চলে গেলে জমির হোসেন মোবাইলে তার সাথে যোগাযোগ করতে থাকে।

বিলকিছ বেগম ২ বছর ৪ মাস গৃহপরিচারিকার কাজে থাকাবস্থায় জমির হোসেনের নামে ব্যাংকের মাধ্যমে ২,৯৪,৪০০ টাকা পাঠান।

সম্প্রতি বিলকিছ বেগম দেশে এসে তার পাঠানোর টাকার হিসাব চাইলে জমির হোসেনের সাথে বিলকিছ বেগমের ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়।

শনিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় উপজেলার ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের উত্তরে বরাউট হাওরে নৌকা যোগে মাছ ধরার জাল তুলতে গেলে একই গ্রামের জমির হোসেন সহ তার আত্মীয় স্বজন জনৈক ছানাই মিয়া, জুবের আহমদ, কবির মিয়া ও জুনেদ আহমদ কে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিলকিছ বেগমের ছেলে রোমান মিয়াকে মারপিট করে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা চালায়।

পরে রোমান মিয়াকে জমির হোসেন তার বসত বাড়ীতে নিয়ে আটক করে রাখে।

তাৎক্ষণিক থানা পুলিশকে ঘটনার খবর দিলে পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন, ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলামের সহায়তায় রোমান মিয়াকে উদ্ধার করেন।

অভিযোগকারী বিলকিছু বেগম বলেন, জমির হোসেন আমার সৌদি আরব থেকে পাঠানো সকল টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখন আবার আমার ছেলেকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, জাল চুরির অপবাদ দিয়ে রোমান মিয়াকে আটকের খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সামাধানের চেষ্টা করি। তবে হাওরের মধ্যে একা কিশোরকে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। শুনেছি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) দেবাশীস সূত্র ধর বলেন, কিশোরকে আটকের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘোড়াডুম্বুর গ্রাম থেকে আহত অবস্থায় রোমান মিয়াকে উদ্ধার করেছি। পরে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডায়ালসিলেটেএম/

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ