প্রকাশিত: ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২১
ডায়ালসিলেট ডেস্ক::উখিয়া উপজেলার বালুখালীর ক্যাম্পে মসজিদে জড়ো করে ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে গুলি ও কুপিয়ে নিহতের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছেন ৮ এপিবিএন সদস্যরা। ঘটনার পর পরই অস্ত্রসহ ১ জন ও শনিবার একাধিক অভিযান চালিয়ে আরো ৯ জনকে আটক করা হয় বলে জানা যায়।
আটকদের মাঝে তিনজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ৮ এপিবিএন অধিনায়ক মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান।
এ ঘটনায় নিহত আজিজুল হকের পিতা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/২৫০ জনের বিরুদ্ধে শনিবার সন্ধ্যায় উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর পরই এপিবিএন অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া ক্যাম্প-১১ এর আবুল কালামের ছেলে মুজিবুর রহমান (১৯) ১টি দেশীয় ওয়ান শুটারগান, ৬ রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি ছুরি সহ গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে শুক্রবার রাতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য ক্যাম্প-১৮ এর একটি কবরস্থানে ৫ জনকে এবং ক্যাম্প-১১ এর একটি কবরস্থানে অপর একজনের নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
৮ এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃত মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে উখিয়া থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে। হত্যা মামলায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- ১১ নং ক্যাম্পের আবুল কালামের ছেলে মুজিবুর রহমান (১৯), ৮/ ওয়েস্ট ক্যাম্পের আবু তৈয়বের ছেলে দিলদার মাবুদ প্রকাশ পারভেজ (৩২), একই ক্যাম্পের ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে মোঃ আয়ুব (৩৭), ৯ নং ক্যাম্পের নুর বশরের ছেলে ফেরদৌস আমিন (৪০), ঐ ক্যাম্পের মৌলভী জাহেদ হোছেনের ছেলে আবদুল মজিদ (২৪)।
ওই হত্যা মামলায় সন্দিগ্ধ আটকরা হচ্ছে- ১৩ নং ক্যাম্পের আলী আহাম্মদের ছেলে মো. আমিন (৩৫), ঐ ক্যাম্পের আবু ছিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), ১২ নং ক্যাম্পের ইলিয়াছের ছেলে জাফর আলম (৪৫), ১০ নং ক্যাম্পের ওমর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ (৪০), ১৩ নং ক্যাম্পের নজির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মাদ আমিন (৪৮)।
বৃহস্পতিবার ভোরে উখিয়ার ক্যাম্প-১৮ এইচ-৫২ ব্লকের ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসায় এক দল দুর্বৃত্ত মুখোশ পরে এসে অকস্মাৎ এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এরপর গুলিবিদ্ধদের কুপিয়ে এবং জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে নিহত বেশ কয়েকজনের হাতের আঙুলসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিহতদের শুক্রবার রাতেই স্ব স্ব ক্যাম্প এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত স্বজনদের দাবি, মুহিবুল্লাহর হত্যাকারী কথিত আরসার সন্ত্রাসীরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় আরসা (আল-ইয়াকিন নামেও পরিচিত) কথিত সংগঠনটির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রচারণা করা যাবে না বলে সংগঠনটির কয়েকজন নেতা হুমকি দিয়েছিলেন।
কিন্তু সাধারণ রোহিঙ্গারা হুমকি উপেক্ষা করে কথিত আরসার বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধের ডাক দিয়ে বিভিন্ন সময় মহল্লাভিত্তিক বৈঠক করেন।
বিভিন্ন বৈঠকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের একীভূত হয়ে থাকতে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রেখেছেন শুক্রবার নিহতদের মাঝে বেঁচে থাকা হাফেজ মো. ইদ্রিসসহ আহতদের কয়েক জন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech