উন্নত দেশের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২২

উন্নত দেশের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ

ডায়ালসিলেট ডেস্ক::আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল জাতি। উন্নত দেশের কাছেও এখন বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় তার অফিসে যুগান্তরকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, তৃণমূল পর্যন্ত দল গোছানো, ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ, বর্তমান সরকারের তিন বছরের উন্নয়ন, রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের পথ চলায় আমাদের দেখতে হবে, কারা ক্ষমতায়, নেতৃত্বে ও দেশ পরিচালনায় ছিলেন। স্বাধীনতার পরে ৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে ১১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন দেশ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত, পোড়ামাটির ভূখণ্ড। সেখান থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছেন। ওই সময়ের মধ্যে তিনি সংবিধান প্রণয়ন করেন। প্রশাসন পুনর্বিন্যাস এবং সব বাহিনী গঠন করেন। একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় যতগুলো অঙ্গ থাকা দরকার সবই তিনি করে দিয়েছিলেন। সদ্য স্বাধীন দেশকে প্রায় ৭০টির মতো দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল। মাহবুবউল আলম বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। এরপর সব মিলিয়ে ৫০ বছরের মধ্যে ২৯ বছর বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যরা ক্ষমতায় ছিল। যাদের পথচলা ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। বঙ্গবন্ধু যেখানে দেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে এই ২৯ বছর রাষ্ট্র উলটো ধারায় চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুছে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করে পাকিস্তানি ভাবধারায় রাষ্ট্র পরিচালনার চেষ্টা করা হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশ কিন্তু খুব বেশি এগোতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পরে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় আসেন। ২০০১ সালে আবার সেই বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকার গঠনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। টানা ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায়। আওয়ামী লীড় মূলত ২১ বছর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পেয়েছে। এই সময়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করা হয়। এটা করেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরু হয়। অনেকের রায়ও কার্যকর করা হয়েছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ ছিল। সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। ২০০৮ সালে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৬০০ ডলারের নিচে। ১৩ বছরে সেটা ২৫৫০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ১৩ বছরে এটা তিনগুণ বেড়েছে। এর সঙ্গে আমাদের রিজার্ভ, রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স বেড়েছে উল্লেখ করার মতো। আমরা এখন নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারি। এ ছাড়া কর্ণফুলী ট্যালেন, পায়রা বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। আমরা সমুদ্র বিজয় করেছি। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হয়েছে যাতে প্রায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাহবুবউল আলম বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমাদের সরকার যথেষ্ট সফল। ২০২০ সালে করোনা শুরু হওয়ার পরে সারাবিশ্বে মানবসভ্যতা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বলা যায় পৃথিবী অচল হয়ে গিয়েছিল। এর পর থেকে এখনো অবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এখনো অনেক দেশ লকডাউন দিচ্ছে। অনেকে করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। আর্থিকভাবে অনেক দেশ প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত। করোনায় পৃথিবীতে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ২০ লাখের মতো মানুষ মারা গেছে। উন্নয়নশীল ও ঘনবসতির দেশ হয়েও সে তুলনায় বাংলাদেশের সংক্রমণ ও মৃত্যু কম। যদিও একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। আমি মনে করি এটা সরকারের বড় সফলতা। সারাবিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। করোনাকালে সরকারের পাশাপাশি দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে গত তিন বছরে সরকার করোনা সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সফলতার পরিচয় দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনি ইশতেহারে যে বিষয়গুলো দিয়েছিলাম, সবই পূরণ করা হয়েছে বলে মনে করি। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার কাজ করছে এবং যথেষ্ট সফলতা রয়েছে। বেকার সমস্যা সমাধানে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। চাইলেই ওভারনাইট কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। তবে সরকার একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন নতুন নানা ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। সারা দেশের জেলায় জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। সরকারের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনেকে ঘরে বসেও আয় করার সুযোগ পাচ্ছে। সু-শাসন প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে এখন কেউ অন্যায় করে পার পায় না। সরকারও সু-শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। তবে এটা একটা আপেক্ষিক বিষয়। একেবারে প্রকৃত সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আইন মানার প্রতি আগ্রহ থাকলেই, দেশে যেটাকে বলে নির্ভেজাল আইনের শাসন সেটা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু রাজনৈতিক দল আছে, যারা মনে করে রাজপথে নেমে গাড়ি ভাঙচুর করাই গণতন্ত্র! কিন্তু আসলে তো এটা হতে পারে না। ফলে যারা এগুলো করে, তাদের সেই অ্যাক্টিভিটিজ থাকলে তো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। এটা করতে হলে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমি মনে করি সব দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নেবে। কারণ নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করাও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনে নির্দিষ্ট আইন নেই। এটাকে কাজে লাগিয়ে অতীতের বিভিন্ন সরকার তাদের ইচ্ছে ও পছন্দ মতো কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আমাদের দেশের প্রচলিত ও গণতান্ত্রিক প্রদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। সব দলের সঙ্গে সংলাপ করে তাদের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। সেই সার্চ কমিটি দিয়ে বিভিন্ন দলের দেওয়া নাম যাচাই-বাছাই করে একটা ভালো কমিশন গঠন করেন। এই পন্থায় যারা সারা দিতে চায় না, তারা আসলে কী চায়? নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের দাবি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, যারা এখন আইন করার দাবি তুলেছেন, তারা ক্ষমতায় থাকার সময় কাজটি করেননি কেন। তারা আইনও করেনি, নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় কারও সঙ্গে আলোচনাও করেনি। এখন তারা বড় বড় কথা বলছে। নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নে সরকারের বিরুদ্ধে আন্তরিকতার ঘাটতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা গোঁজামিল দিয়ে কাজ করতে চাই না। নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন অতীতে কেউ করেনি কিন্তু আমরা বলেছি, এটা আমরা করব। আমরা আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যেই এই উদ্যোগ আমরা নেব। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তারা তো ২০১২ সাল থেকেই সরকার পতনের আন্দোলন করছে। এটা করতে করতেই আজ এই জায়গায় এসেছে। এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে জনগণের সহানুভূতি আদায়ের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানোর আন্দোলন করতে চায়। বিএনপির এই আন্দোলন নিয়ে জনগণ এমনকি আওয়ামী লীগের মধ্যেও কোনো ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ তাদের আন্দোলনে কেন সমর্থন দেবে? শেখ হাসিনার ওপর এ দেশের মানুষের আস্থা ও ভরসা রয়েছে। কারণ তারা (জনগণ) বিশ্বাস করে বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা থাকা মানে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকবে। আর অন্য দিকে বিএনপি নামের দলটিকে আন্তর্জাতিক আদালতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে রায় দিয়েছে। যে দলের শীর্ষ নেতা সন্ত্রাস-দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে পলাতক। সেই দলের নেতারা আন্দোলন করে দেশের ও জনগণের জন্য কী দেবে? দেশের জনগণ তাদের চেনে। তাই তারা ওই ধরনের নেতৃত্বকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২২ সাল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের জন্য সাংগঠনিক বছর। এই বছরের মধ্যে পুনর্গঠন করা হবে সব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। এরপর কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তোলা হবে। তৃণমূলসহ দলে নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকলে তা নিরসন করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে। মূলত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজানোর এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে চলে এসেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ইউপি নির্বাচনে দলের মধ্যে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে। এতে যে সমস্যাগুলো হয়েছে, আমরা আশা করছি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারব। যাতে করে আমাদের মাঠের নেতাকর্মীরা দলের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারে। আমরা এই উদ্যোগগুলো নিচ্ছি। সব মিলিয়ে বলা যায় ২০২২ সালের মধ্যেই আমাদের সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে শক্তিশালী করব। সেই সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে যেসব ছোটখাটো দ্বন্দ্ব বিভেদ আছে সেগুলো দূর করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব। তৃণমূল গোছানো প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমাদের দল গোছানোর কাজ চলছে। আমরা একটা কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর থেকে পরবর্তী সম্মেলনের মধ্যে দলকে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে। যদিও করোনার কারণে গত দুই বছর আমাদের দল গোছানোর কাজ কিছুটা সীমিত আকারে করতে হয়েছে। করোনা সংক্রমণ কমার পরে আমরা সেটা আবার পুরোদমে শুরু করেছি। আমাদের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা ও জেলার সম্মেলন করছি। করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আমাদের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আশা করি, আমরা কাউন্সিলের নির্ধারিত সময়ের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সব জেলা-উপজেলার সম্মেলন শেষ করতে পারব। সহযোগী সংগঠনগুলোও তাদের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাদের তৃণমূল গোছানো কাজ করছে। ছাত্রলীগও তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলার কমিটি করছে। শিগগিরই ছাত্রলীগের কাউন্সিল হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

0Shares