প্রকাশিত: ১:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২২
সহজ ক্যাচ ড্রপ, ফিল্ডিং মিসে বাউন্ডারি হজম। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের লাগামহীন বোলিং। সবমিলিয়ে হাতে থাকা এক ম্যাচ পাকিস্তানকে দিয়ে দিলো বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আগের ম্যাচেই। শেষ ম্যাচটিতে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল টাইগাররা। কিন্তু দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর শেষ ওভারে এসে হেরে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। পাকিস্তান জিতেছে ৭ উইকেট আর ১ বল হাতে রেখে।
পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ১৭৪ রান। বোলিংয়ে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ আর তাসকিন আহমেদ প্রথম দুই ওভারে দেন ৩ করে মাত্র ৬ রান।
তৃতীয় ওভারে শরিফুল এক বাউন্ডারি হজম করলেও ৭ রানের বেশি খরচ করেনি। তবে চতুর্থ ওভারে হাত খোলেন বাবর আজম। তাসকিনকে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চাপ কমান পাকিস্তান অধিনায়ক।
পরের ওভারে হাসান মাহমুদকেও জোড়া চার হাঁকান বাবর। ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে নিয়ে বাবর-রিজওয়ানের দুই বাউন্ডারিসহ ১১ রান হজম করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৪৬ রান তোলে পাকিস্তান।
বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এরপরও হাত খুলে খেলতে দেননি সাকিব-শরিফুলরা। ১০ ওভারে মাত্র ৭৩ তুলতে পারে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের রান তাড়ায় চাপ বাড়ছিল ক্রমশ। শেষ ১০ ওভারে ১০১ রান দরকার পড়ে তাদের। সেই চাপ কমাতেই ঝুঁকি নিয়ে ছক্কা হাঁকাতে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ফাইন লেগে একদম সহজ ক্যাচ ফেলে দেন সাইফউদ্দিন। পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে ‘নো’সহ তিনি দেন ১৯ রান। তাতেই পাকিস্তানের চাপ কমে যায় অনেকটা।
তবে পরের ওভারে হাসান মাহমুদ জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ফের বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। ৪০ বলে বাউন্ডারিতে ৫৫ করে ডিপ কভারে ক্যাচ হন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। এর এক বল পর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে হায়দার আলিকে বোল্ড করেন হাসান।
৩৩ রানে জীবন পাওয়া রিজওয়ান ৪২ বলে পূরণ করেন ফিফটি। তিনিই ম্যাচ অনেকটা হাতে নিয়ে আসেন পাকিস্তানের। শেষ দুই ওভারে ১৪ রান দরকার পড়ে পাকিস্তানের। ১৯তম ওভারে সৌম্য সরকার আউট করেন রিজওয়ানকে (৫৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৬৯)। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ বলতে গেলে শেষ।
হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সাউফউদ্দিন ৩.৫ ওভারে ৫৩ রান খরচ করে ছিলেন উইকেটশূন্য।
এর আগে বার্থডে বয় লিটন দাস আর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জোড়া ফিফটিতে ভর করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৭৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা।
ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতে পারে টাইগারা। ৯ বল খেলে রানের খাতা খোলেন শান্ত। এর মধ্যে উইকেট বিলিয়ে দেন সৌম্য সরকার।
নাসিম শাহর করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে ধরা পড়েন সৌম্য (৪ বলে ৪)। তাকে ওপেনিংয়ে তুলে আনার সিদ্ধান্ত কাজে লাগেনি।
নাজমুল হোসেন শান্তর প্রতিভায় পাহাড়সমান আস্থা টিম ম্যানেজমেন্টের। তবে সেই আস্থার প্রতিদান তিনি দিতে পারছেন খুব কমই। ওপেনিংয়ে নেমে একবার ২৯ বলে ৩৩, আগের ম্যাচে ১২ বলে ১১ আর এবার ১৫ বল খেলে করলেন ১২ রান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডট বল খেলাকে বলা হয় অপরাধ। শান্ত আজ ওপেন করতে নেমে নিজের রানের খাতা খুলতেই লাগিয়েছেন ৯ বল। বেশ কয়েকবার পরাস্ত হয়েছেন। অবশেষে মোহাম্মদ ওয়াসিমের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে বাজেভাবে আউট শান্ত।
এরপর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান আর লিটন দাস। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৮৮ রানের এক ঝোড়ো জুটি গড়েন তারা। অবশেষে এই জুটিটি ভাঙে লিটনের আউটে।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজকে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ উঠে যায় লিটনের। ৪২ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন লিটন। ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেছিলেন তিনি।
এরপর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন ৩৩ বলে, এবারও সমান বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন টাইগার দলপতি।
ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন সাকিব। নাসিম শাহর বলে ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে শাদাব খানের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৪২ বলে গড়া তার ৬৮ রানের ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার।
এরপর ইয়াসির আলি আউট হন মাত্র ১ করে। মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা শেষ ওভারে ১০ বলে ১১ রানে রানআউট হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান নিতে পারে বাংলাদেশ। নাহলে পুঁজিটা আরও বড় হতে পারতো।
পাকিস্তানের নাসিম শাহ আর মোহাম্মদ ওয়াসিম নেন দুটি করে উইকেট।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech