ঢাকা-সিলেট রেলপথের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি শুরু হলো স্বল্প বিরতির ট্রেন আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেসের।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি হরষপুর রেলস্টেশনে পৌঁছালে এবং বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেট গামী কালনী এক্সপ্রেস হরষপুর স্টেশনে যাত্রা বিরতি করলে জনতার উল্লাস আর করতালিতে স্টেশন এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।

এসময় কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন-বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোছাব্বির হোসেন বেলাল।

এদিকে ট্রেনের যাত্রাবিরতির খবরে অসংখ্য মানুষ জড় হয় হরষপুর রেল স্টেশনে। বাদ্যের তালে নেচে নেচে আনন্দ প্রকাশ করে এলাকাবাসী।

হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মুশফিক উদ্দিন জানান-ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী কালনী এক্সপ্রেস ৭৭৩/৭৭৪ ট্রেনটি এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ৯ঃ৪২ এবং সন্ধ্যা ৫ঃ৩৭ মিনিটে মাধবপুর উপজেলার হরষপুর রেলস্টেশনে নিয়মিত যাত্রাবিরতি দেবে।

হরষপুর থেকে ঢাকা-সিলেট উভয় দিকে যাত্রীদের জন্য ট্রেনে ৫টি এসি, ৫টি সাধারণ আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০টাকা। হরষপুর থেকে ঢাকা ও সিলেট পৌছতে ট্রেন’টির সময় লাগবে ২-৩ ঘণ্টা।

পরে, স্টেশন চত্বরে চেয়ারম্যান মোঃফারুক আহমেদ পারুল এর সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- প্রধান অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোছাব্বির হোসেন বেলাল ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি হাজী আবু তাহের, ধর্মঘর ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সভাপতি আব্দুল আওয়াল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ মিয়া, ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল মিয়া, আওয়ামীলিগ নেতা ফরিদ মিয়া, নজরুল ইসলাম রাজা, মিনার মিয়া, গোলাম হোসেন, স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নান, ইউপি সদস্য জিতু মিয়া ও আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

ট্রেনের যাত্রা বিরতিতে বিশেষ অবদান রাখায় মাধবপুর দক্ষিণ অঞ্চলের সাধারণ জনগণ হবিগঞ্জ-৪ মাধবপুর-চুনাঘাট আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান ও পরিবহন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মোঃ মাহবুব আলী এমপি’কে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।