কুলাউড়ায় অফিস সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩

কুলাউড়ায় অফিস সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ডায়ালসিলেট ডেস্ক:  মৌলভীবাজারের কুলাউড়া গিয়াসনগর দাখিল মাদ্রাসায় অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জনি বেগম নামে ওই পদের একজন আবেদনকারী।অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, গিয়াসনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় উল্লিখিত পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১১ ফেব্রুয়ারি। বেলা ২টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দুই ঘণ্টা পর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ডিজি অফিসের প্রতিনিধি, কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, মাদ্রাসা সুপার এবং শিক্ষানুরাগী সদস্য। তবে ডিজি প্রতিনিধির সময়স্বল্পতার কথা বলে শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার, মাদ্রাসা সুপার তৈয়ীবুর রহমান এবং শিক্ষক আবুল খায়ের তড়িঘড়ি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেন। তবে কম্পিউটারের ওপর ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। নিয়োগ বোর্ডের প্রধান নিজের নানা সমস্যা দেখিয়ে পরের দিন বোর্ড থেকে পরীক্ষার ফলাফল জেনে নেওয়ার কথা বলে দ্রুত চলে যান। এ সময় সংশ্নিষ্টদেরও সেখানে পাওয়া যায়নি। কর্মকর্তাদের আচরণে সন্দেহ হলে পরীক্ষার্থী জনি বেগমসহ এলাকার বেশ কয়েকজন মাদ্রাসার পাশে অবস্থান করেন। ঘণ্টাখানেক পর হঠাৎ ডিজি প্রতিনিধি, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা সুপার ফিরে আসেন এবং আবু বক্কর নামের প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে ঘোষণা দেন।পরীক্ষার্থী জনি বেগম বলেন, ‘আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় মাদ্রাসা সুপার আমাকে বলেছিলেন, এখানে কোনো নারী নিয়োগ দেওয়া হবে না। তুমি আবেদন করে কী করবা? তবে চাকরির জন্য মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সুপার আর্থিক সমঝোতার প্রস্তাব দিলেও তাতে আমি রাজি হইনি। পরীক্ষার পর তারা আমার রেজাল্ট শিট ও ইন্টারভিউ কার্ডটিও দেননি।’ অভিযোগের ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা তৈয়ীবুর রহমান বলেন, ‘সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে ডিজি অফিসের প্রতিনিধি আসতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষা একটু দেরিতে শুরু করা হয়েছিল।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক ছিল। কোনো অনিয়ম হলে তদন্ত করে দেখা যেতে পারে। এ ব্যাপারে ইউএনও মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, অভিযোগের ব্যাপারে অনুসন্ধানের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0Shares