প্রকাশিত: ৩:০৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৩
স্পোর্টস ডেস্ক :: ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জয়ের পর তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ সম্ভবত হবে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় আসরগুলোর একটি, বিশেষ করে আমাদের চার জনের জন্য। আমরা খুব সম্ভবত সেখানেই শেষ করব।’ আমাদের বলতে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক নিজের, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের কথা বুঝিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাঁক বদলের নায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এখন নেই। বাকি চার জন এখনও খেলে যাচ্ছেন। তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সমাপ্তি রেখা নিয়েও চলে জল্পনা-কল্পনা। তামিমের ধারণা, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চতুষ্টয়ের বিদায়ের বড় এক মঞ্চ।
বিশ্বকাপ বছরে বড় কিছুর আশায় রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশ ভারত বলেই বড় আশায় বুক বেঁধেছেন ক্রিকেটাররা, ক্রিকেট-প্রেমীরা। যে মঞ্চে মাঠে নামার প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে যাচ্ছে বুধবার থেকে। ঘরের মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আতিথেয়তা দিয়ে।
আজ বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। দিবারাত্রির ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়। বিশ্বকাপ বছরে এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ এই দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও থাকছে ৩০ পয়েন্ট। যদিও দুই দলই এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে সিরিজ। তাই ১০ পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা অনেকটাই নেই।
তবে সিরিজ জিততে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ। সঙ্গে অতীতের একটি হারের বদলাও নিতে চায় স্বাগতিকরা। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে নতুন পথ চলা শুরু হয় বাংলাদেশের। এ সময়ে ১৩ ওয়ানডে সিরিজের ১২টি জিতেছে বাংলাদেশ। কেবল একটি হেরেছে ২০১৬ সালে। তাও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে। লম্বা এ সময়ে ৩৯ ম্যাচের ৩০টি জিতেছে। হেরেছে ৯টি।
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আবার ইংল্যান্ডকে নিজেদের ডেরায় পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার কোনোভাবেই ওয়ানডে সিরিজটি হাতছাড়া করতে চায় না বাংলাদেশ। সঙ্গে নতুন এক চ্যালেঞ্জের অপেক্ষাতেও তামিম অ্যান্ড কোং। ইংল্যান্ড বাদে সবগুলো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ কোনও না কোনও সংস্করণে সিরিজ জিতেছে। এবার ইংল্যান্ডকে হারালে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের বৃত্ত ভরাট হবে।
ইংল্যান্ড অবশ্য ন্যূনতম ছাড়ও দেবে না। বিশ্বকাপের আগে উপমহাদেশে এটাই তাদের শেষ সিরিজ। এজন্য ভারতের কাছাকাছি কন্ডিশনে নিজেদের বাজিয়ে দেখতে সেরা প্রস্তুতিই তারা নেবে। ২০১৯ বিশ্বকাপ জেতা বাটলার ঢাকা নেমে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কথা বলেছেন।
১৮ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদচারণা মুশফিকের, সাকিবের ১৭। তামিম খেলছেন ১৬ বছর ধরে, মাহমুদউল্লাহর ১৬। প্রত্যেকেই ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন দেখেছেন। পারফরম্যান্সের উঠা-নামা দেখেছেন। চার জনের ক্যারিয়ারের ফুলস্টপ পড়ে যেতে পারে এ বছরই। এজন্য বিশ্বকাপকে বড় কিছুর লক্ষ বানিয়েছেন তারা। স্বপ্নযাত্রার শুরুটা হচ্ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। অক্টোবর-নভেম্বরের আগে অন্তত আরও ১৬টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালো প্রস্তুতি নিলে বড় কিছু অর্জন করা তাদের পক্ষেও সম্ভব। অতীতেও তারা বাংলাদেশকে হাসিয়েছেন। ভবিষ্যতেও পারবেন। এমন সরল বিশ্বাস তো করাই যায়।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech