তেজগাঁও বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২৩

তেজগাঁও বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সোমবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে এ খবর জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা জানান, আজ রাত ১০ টা ১০ মিনিটে তেজগাঁওয়ের বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১১ টি ইউনিট। আগুন অনেক টিন শেডের ঘর পুড়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর আসেনি।

আগুনে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোন তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ারকর্মীদের: আগুনের তীব্রতা ও পানির স্বল্পতার কারণে নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ারকর্মীদের বেগ পেতে হয়।

 

ঘটনাস্থলে কর্মরত ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, বস্তিটিতে আগুনের তীব্রতা অনেক ছিল। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে পানির স্বল্পতাও ছিল। আগুনের তীব্রতা ও পানির স্বল্পতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের বেগ পেতে হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে বিমান বাহিনী: তেজগাঁওয়ের বস্তিতে লাগা আগুন একসময় ভয়াবহ আকার ধারন করে। আগুন নেভাতে বেশ বেগ পোহাতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। এ অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি দল। সোমবার (১৩ মার্চ) রাতে আইএসপিআর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

কয়েকশ ঘর পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা: রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বস্তিতে লাগা আগুনে কয়েকশ ঘরে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

তারা বলছেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার রোলিং মিল বস্তিতে প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার পরিবারের বসবাস। ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে মূলত নিম্ন আয়ের মানুষজন বস্তিটিতে থাকেন। বস্তিটিতে প্রায় কয়েক হাজার ঘর রয়েছে। এর মধ্যে আগুন কয়েকশ ঘর পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মো. মিজান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রাত ৮টা বাজার ১০ মিনিট আগে বস্তিটিতে আগুন লেগেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন বস্তিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ মালামাল নিয়ে বের হয়ে আসতে পারেনি। সব ঘরের মধ্যে রয়ে গেছে। যেভাবে আগুন লেগেছে, তা দেখে মনে হচ্ছে ভেতরে কয়েকশ ঘর আগুন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এদিকে আনোয়ার নামে বস্তিটির এক বাসিন্দা বলেন, ভেতরে সব পুইড়া শেষ হইয়া যাচ্ছে। কিছুই বাকি নাই, অনেক ঘর পুড়ে যাইব। সব ১-২ তলার টিনশেডের ঘর। ভেতর থেইকা কিছু লাইয়া বের হতে পারি নাই।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ