মণিপুরি ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ১১:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২৩

মণিপুরি ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আলোচনা সভা

ডায়াল সিলেট ডেস্ক ॥ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হৈরোল ফাউন্ডেশন এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মণিপুরি বর্ণমালা, ভাষা, মণিপুরি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে দ্য ভানুবিল ড্রামা পার্টির কলাকুশলী ও ড্রামা পার্টির উন্নয়নে অবদান রাখা স্বগীর্য় গুরুজনদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মার্চ) বিকেল ৩ টায় উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামের লক্ষ্মীনারায়ণ মন্ডপে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হৈরোল ফাউন্ডেশন।

কর্মসূচির অন্যান্যীনারায় মধ্যে ছিলো নৃত্য, খোংজোম ইশৈ, খুবাক ইশৈ (মণিপুরি লোক গীতি) প্রভৃতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদের সভাপতি, কবি ও গবেষক এ কে শেরাম।

হৈরোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কনথৌজম শিল্পীর সভাপতিত্বে এবং লৈইনা দেবী ও আয়েকপাম অঞ্জুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও সাহিত্যক খইরোম ইন্দ্রজিৎ, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু, সাংবাদিক সালেহ এলাহী কুটি, হকতিয়ারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কুঞ্জরাণী সিনহা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন থংজম সুখ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আদমপুর ইউপি সদস্য রোশন আলী, হকতিয়ারখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বৃন্দা রাণী সিনহা, সাংবাদিক সালাউদ্দিন শুভ, আর. কে. সৌমেন, য়ুমনাম পিবা। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা মণিপুরি বর্ণমালা, ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সবশেষে দি ভানুবিল ড্রামা পার্টির উন্নয়নে অবদান রাখায় স্বগীর্য় ৬ জন গুরুজনকে মরণোত্তর সম্মাননা ক্রেষ্ট ও বর্ণমালা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

বর্ণমালা প্রতিযোগিতায় ৪টি দল অংশগ্রহণ করে। এতে প্রথম স্থান অর্জন করেন হকতিয়ারখোলা দল।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের স্বপ্নের  পাকা ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ সব সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ঘরগুলো এখন শুধু হস্তান্তরের অপেক্ষায়।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে জানান, আগামী ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  অনুষ্ঠানকে সফল করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে মোট ১৯২ টি গৃহের মধ্যে  ১১৭ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে এ ঘর হস্তান্তর করা হবে।

0Shares