তিনটি সমৃদ্ধ বনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা বন, ধ্বংশের পাঁয়তারা : বাপা

প্রকাশিত: ৭:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৩

তিনটি সমৃদ্ধ বনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা বন, ধ্বংশের পাঁয়তারা : বাপা

ডায়াল সিলেট ডেস্ক ॥ বড়লেখার পাথারিয়া বন, কমলগঞ্জের রাজকান্দি বন ও সর্বশেষ সংরক্ষিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা সুষ্টু তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এবং জীব-বৈচিত্র রক্ষার দাবীতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার জেলা শাখা।সংগঠনটির দাবী,তিনটি বনে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি বন ধ্বংশেরই পায়ঁতারা। মঙ্গলবার ২১ মার্চ দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের প্রেসক্লাব চত্বরে জেলার তিনটি সমৃদ্ধ বনে আগুণ লাগার চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রেক্ষিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে বাপা মৌলভীবাজার জেলা শাখা।মানববন্ধনে বাপা জাতীয় পরিষদ সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা সমন্নয়ক আ.স.ম সালেহ সোহেল বলেন, সংরক্ষিত বনে আজকে সামাজিক বনায়নের যে অপচেষ্টা চলছে,আমরা মনে করি এই অপচেষ্টাকে এখনই বন্ধ করা উচিৎ। এখানে বনদস্যু আগুণ লাগাচ্ছে না কী, যারা সামাজিক বনায়ন করবে তাঁরা আগুণ লাগাচ্ছে, না কী অন্য কেউ আগুণ লাগাচ্ছে সেটি কিন্তু এখনো পরিস্কার না। কেউ বলছে সিগারেটের আগুণ থেকে আগুণ লেগেছে। আমরা মনে করলাম ভাল, সিগারেটের আগুণ থেকে আগুণ লেগেছে।কিন্তু তিনটি বনেই কী শুধু সিগারেটের আগুণ থেকে লাগলো? এখানে কী ফায়ার ব্রিগেড কিংবা বন বিভাগ ছিলোনা? প্রশ্ন রেখে তিনি আরো বলেন,এখানে বন বিভাগ তাঁর কী তদন্ত রিপোর্ট দিলো এখন পর্যন্ত বন বিভাগ স্পষ্ট করেনি। আমরা মনে করি এটা বন ধ্বংশ করার পাঁয়তারা। আমাদের যেও কিছু বন আছে,যেসব বনদস্যু গাছ কাটতে পারছে না,তাদের এখানে একটি ভুমিকা থাকতে পারে। আজকে সামাজিক বনায়নের নামে বন দখলের যারা চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের কোন পাঁয়তারা থাকতে পারে।আমরা মনে করি যারাই করুক এখানে তাদেরকে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এবং সিলেটের এই তিনটি বন-ই সমৃদ্ধ বন। এই সমৃদ্ধ বনে আগুণ লাগানোটা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা মনে করে এখনই সেটিকে রুখতে হবে। এখনই যদি এঠি বন্ধ করা না যায় তাহলে বাংলাদেশে বন বলে কিছু থাকবেনা।বাপা জাতীয় পরিষদের সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা সমন্নয়ক আ.স.ম সালেহ সোহেল এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাপা মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব কবি সিবপ্রসন্ন ভট্রাচার্য্য,৭১ টেলিভিশনের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি সাংবাদিক আহমেদ ফারুক মিল্লাত, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত ও পরিবেশকর্মী হাসান আহমেদ রাজা।এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাপা’র সদস্য ও দৈনিক বাংলা ৭১’র মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মো: আব্দুল কাইয়ুম, সঙ্গীত শিল্পী ও প্রশিক্ষক গৌরাঙ্গ দাশ, কবি পুলক কান্তি ধর, পরিবেশকর্মী, শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।উল্লেখ্য: গত ৪ মার্চ পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের সমনভাগ বিটের মাখাল জোরা, আলমবাড়ি ও ধলছড়া এলাকার বনাঞ্চলে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশবাদীদের অভিযোগ সামাজিক বনায়নের জন্য পরিকল্পিতভাবে ওই সংরক্ষিত বনে আগুন লাগানো হয়েছে।এ ছাড়াও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানসহ বিভিন্ন পাহাড়ি টিলায় আগুন দিয়ে,গাছ কেটে কিংবা মাটি কেটে বনভূমি উজাড় করা হচ্ছে। এসব আগুনে বনের ছোট-বড় ৭-৮ টি টিলাসহ প্রায় ১৭-১৮ একর বনভূমির বাঁশ গাছ ও ঝোপঝাড় সহ বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য পুড়ে গেছে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে পরিবেশের। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য।

0Shares