মনজু বিজয় চৌধুরী: ঘরটা কেমন সুন্দর, তা দেখতাম। প্রধানমন্ত্রী আমারে একটা পাকা ঘর পাইলাম।অহন কবরে গিয়াও শান্তিতে ঘুমাইতে পারমু। জমি পাইলাম লগে ঘরও পাইলাম। হনুফা বেগম শেষ বয়সে আমি সবই পাইলাম। তার জীবন সার্থক বলে তিনি মনে করেন উনার স্বামী কামাল মিয়া। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রনজিৎ চাষা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জন্য আর্শীবাদ করছিলেনএ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই আশ্রয়ণ প্রকল্প। এই প্রকল্পটির কাজ করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অসহায়, দরিদ্রদের পাশে দাড়িয়ে যে অনুভূতি তৈরী হয় তা অসাধারণ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নতুন নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরীফ উদ্দিন, উপজেলা ভূমি অফিসার সাদিয়া সুলতানাসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১০০৪টি পরিবারকে ঘর দেয়া হচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ -২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৪র্থ পর্যায়ে ২ শতক জমি ও গৃহ প্রদান কার্যত্রুম আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্ধোধন করবেন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ১ম, ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ পর্যায়সহ সর্বমোট ১১৬০ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।
৫০ বছর বয়সী তছলিম মিয়া মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দুলর্ভপুর গ্রামের বাসিন্দা। অনেক গঞ্জনা সহ্য করে পুরোনো টিন দিয়ে কোনোমতে একটি ছোট একচালা টিনের ঘর বানিয়ে দিয়েছিল। বুড়োবুড়ি কোনোমতে একটি চৌকি পেতে সেখানে রাত কাটাতেন।
তছলিম মিয়ার বিষয়ে জানতে পেরে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের নির্দেশে সদর উপজেলার ইউএনও বিষয়টি আমলে নিয়ে তছলিম মিয়া কে প্রধানমন্ত্রীর একটি উপহারের ঘর বরাদ্দ দেয়। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে তছলিম মিয়া খুবই খুশি।
উপজেলা ভূমি অফিসার সাদিয়া সুলতানা বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের কার্যক্রম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালা যথাযথ ভাবে অনুসরণ পূর্বক বাস্তবায়িত করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মৌলভীবাজারের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে মোট ১৬৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। আগামী ২২ মার্চ উদ্ধোধন করা হবে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমি ও ঘরের কাগজ হস্তান্তর করা হবে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরীফ উদ্দিন জানান মুজিববর্ষের উপলক্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমহিীন ও গৃহহীন মানুষরে বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে একক গৃহ নির্মাণের র্কমসূচি হাতে নেয়া হয় ।