প্রকাশিত: ২:০১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: কথাকলি সিলেটের চার দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে ছয় দিনব্যাপী বরাক-সুরমা নাট্যোৎসব-২০২৩ সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার উৎসবের শেষদিনে মঞ্চস্থ হয়েছে শিলচরের নাট্যদল গণসুরের নাটক ‘নাথবতী অনাথবৎ’। শাঁওলী মিত্রের রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সুব্রত রায়।
শেষ দিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে রিকাবীবাজার কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মঞ্চে নাটকটির মঞ্চায়ণ হয়।
‘নাথবতী অনাথবৎ’ নাটকটির সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানান, মহাকাব্য মহাভারতের অন্যতম চরিত্র, দ্রৌপদী। তাঁকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে এই মহাকাব্যের সবচেয়ে ঘটনাবহুল ও নির্ণায়ক অংশ। মূল ঘটনাপ্রবাহের সমান্তরালে এই অসামান্যা নারীর জীবনের নিজস্বতা নিয়ে শাঁওলি মিত্র রচনা করেছেন নাটক ‘নাথবতী অনাথবৎ’।
স্বচ্ছন্দ সাবলীলতায় এগিয়ে চলে, দর্শক-শ্রোতাকে তার কথকতার ভাষ্যের জালে জড়িয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে উন্মোচিত করে নারীজীবনের চিরন্তন জটিলতাকে। নারীর প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি , সুখ-দুঃখের যে জগৎ তা সামনে তুলে ধরেন শাঁওলি মিত্র, এ এক স্বয়ংসম্পূর্ণ আখ্যান যা আজও প্রাসঙ্গিক। পরিচালক সেই ধারা বেয়েই এগিয়ে চলেন, কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ তাঁকে নিতে হয় না। মহাভারতের প্রতিটি চরিত্রই বর্ণময় এবং বহুলাংশে জটিল। এ জটিলতা শুধু রাজপুরুষের নয়, সাধারণ জীবনও এতে আন্দোলিত। পরিচালক এই অসাধারণ নাটকে মূল রচয়িতার বক্তব্যকে অপরিবর্তিত রেখে দর্শকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন মাত্র।
নাটক শেষে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার নীরাজ কুমার জায়সওয়াল।
সমাপনী অনুষ্ঠানে কথাকলি সিলেটের দুজন সদস্য অধ্যাপক শামীমা চৌধুরী ও অরিন্দম দত্ত চন্দন শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক আবৃত্তি ও নাটকে সম্মাননা লাভ করায় তাদেরকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের বরাক নদী অববাহিকা, আসামের শিলচর ও সুরমা নদী অববাহিকা সিলেটের নাট্যদলের অংশগ্রহণে এই উৎসবের সহযোগিতায় ছিল ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা ও সিলেট সিটি করপোরেশন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech