সুনামগঞ্জে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ৬ কৃষক নিহত

প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৩

সুনামগঞ্জে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ৬ কৃষক নিহত

কমলগঞ্জে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষক নিহত 

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে ধান কাটতে গিয়ে ৩ উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে ছয় কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ও দুপুরে তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলা হাওরের পৃথক স্থান এ ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে ছাতক উপজেলার দেবের গাও গ্রামের কৃষক মহিম মিয়া, বড়কাপন এলাকার কৃষক আরশ আলী ও চরমহল্লা গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ সকালে ধান কাটতে গিয়ে হাওরে আকস্মিক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু ঘটে।

 

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৩ কৃষক ধান কাটার সময় বজ্রপাতে নিহত হন।

 

দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার চৌদ্দকুড়ি হাওর ও কালাদেউরা হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আরো দুই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষকরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রণভূমি গ্রামের কৃষক তারা মিয়া ও মিলন মিয়া।

 

দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর জানান, হাওরে ধান কাটতে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়।

 

এছাড়াও সকালে তাহিরপুরে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে রমজান মিয়া নামের আরেক কৃষকের মৃত্যু হয়। এ সময় বজ্রপাতে আরেক কৃষক আহত হন। নিহত কৃষক রমজান মিয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন কুকুর কান্দি গ্রামের হাছন আলীর ছেলে।

 

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার জানান, বজ্রপাতে একজন কৃষক নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

 

কমলগঞ্জে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষক নিহত 

 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় মাঠের ভেতর গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে সোম শব্দকর (৪২) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। এ সময় তার একটি গরু মারা গেছে। নিহত সোম শব্দকর উপজেলার ৫নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উত্তর তিলকপুর গ্রামের মৃত গিরীন্দ্র শব্দকরের ছেলে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

তিলকপুর গ্রামের বাসিন্দা জেলা শব্দকর সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি প্রতাপ শব্দকর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কৃষক সোম শব্দকর বাড়ির পাশে ফাঁকা মাঠের ভেতর গরু চরাতে যান। একপর্যায়ে হঠাৎ বজ্রপাতে সোম শব্দকর ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সঙ্গে তার গরুটি মারা গেছে। পরে স্থানীয় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোম শব্দকরের মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বজ্রপাতে নিহত সোম শব্দকরের পরিবারকে তাৎক্ষনিকভাবে জেলা প্রশাসকের পক্ষ নগদ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

 

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে রোববার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন ও কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বজ্রপাতে নিহত সোম শব্দকরের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত নগদ ২০ হাজার টাকা নিহতের পরিবার সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ