অনির্বাচিত সরকার জনগনকে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য জোরপূর্বক ক্ষমতায় বসে আছে : নাসের রহমান

প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৩

অনির্বাচিত সরকার জনগনকে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য জোরপূর্বক ক্ষমতায় বসে আছে : নাসের রহমান

ডায়ালসিলেট ডেস্ক : দেশে অনির্বাচিত এই সরকার জনগনকে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য জোরপূর্বক ক্ষমতায় বসে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান।

বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের সরকারবাজারে তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সর্বসাধারণের সাথে ঈদ পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাত ও শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র নাসের রহমান বলেন- বিএনপির রাজনীতি সব সময় দেশের কল্যাণে,দেশের মানুষের কল্যাণে। সে জন্য বিএনপি জনগনের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতি করে। আর আওয়ামীলীগ জনগনের সাথে সর্ম্পক রাখার প্রয়োজন মনে করে না।

কারণ তারা আওয়ামীলীগ এখন আর রাজনীতিক দল নয়। তারা জনগণকে চিবিয়ে চিবিয়ে মারছে। সমস্ত কিছু ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। গ্যাসের দাম, তেলের দাম, চাল, ডালের দাম বাজারে সব পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের  এতো দাম বাড়ানোর পরও আবারও বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এসব কারণে আ.লীগ এখন জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। তাদের কিছু সুবিধাভোগীছাড়া সম্পূর্ণ গণবিচ্ছিন্ন একটি দলে পরিণত হয়েছে।

সেজন্য সারাদেশের মানুষ এখন আ.লীগ কে গনমানুষের রাজনৈতিকদল মনে করে না তাদেরকে একটা মাস্তানতন্ত্র দল ও গুন্ডা লীগ মনে করে। জনগণকে তারা ভয় পায় বলেই দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে ভয় পায়।

আর এসব কারণে আওয়ামীগের দরকার পুলিশ,আওয়ামীলীগের দরকার আদালত,আওয়ামীলীগের দরকার প্রশাসন। এখন তাদের ওপর ভর করে গনতন্ত্রের লেবাস পড়ে দেশে এক দলীয় স্বৈরশাসন চালিয়ে বিরোধীমত দমনে জুলুম,অত্যাচার চালিয়েছে।

তিনি বলেন- দেশে এর আগে তিনটা চুরির নির্বাচন গেছে। ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে। এবার সে আশা শেষ। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ হবে। শেখ হাসিনার অধীনে আর কোন নির্বাচন হবে না। দেশের মানুষ এই স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চায়। সাড়ে চৌদ্দ বছর,পনের বছর ধরে অন্যায় অবিচার চলছে দেশবাসীর উপরে। এক কথায় যারা আওয়ামীলীগ করে না শুধু তাদের ওপর দিয়ে।

তিনি আরও বলেন- আওয়ামীলীগ হল গুন্ডা মাস্তানের দল। এখন এই গুন্ডামাস্তান সরকারের যাবার সময় এসেছে। সারা বাংলাদেশের জনগন জেগে উঠেছে। এ অবৈধ সরকারের বিদায় নেয়ার সময় এসেছে। সুরঙ্গের শেষ পথে একটু আলো দেখা যাচ্ছে। এতোদিন আমরা অন্ধকারে ছিলাম।

শিগগিরই পুরো আলো দেখা যাবে। এর জন্য জনগণের ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সামনের চুড়ান্ত আন্দোলন সংগ্রামে সকলকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কাউকে ঘরে বসে থাকা যাবে না।

নাসের রহমান বলেন-আর দ্রব্যমূল্যের কথা কি বলব। বাজারে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। অথচ এই অনির্বাচিতরা বলে রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য নাকি বেড়েছে?। তাহলে আমরা প্রশ্ন রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের খরচ কি বাংলাদেশ দেয় ? তাদের ভাবখানা  যেন এমন রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের সমস্ত খরচ বাংলাদেশের বহন করে।

এর জন্য সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এসব অযুহাত দেশের মানুষকে দেখিয়ে লাভ নেই। দেশের মানুষ সবই বুঝে। গ্যাসের দাম তিনগুন বেড়েছে,তেলের দাম,বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়াচ্ছে। আর এসমস্ত বোঝা টানতে হচ্ছে দেশের জনগন।

এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, সহ-সভাপতি আশিক মোশাররফ, মো: হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: ফখরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো: ইদ্রিছ আলী, জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হেকিম, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউর রহমান, অর্থ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রুহিন, উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান, মনুমূখ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক রায়হান আহমদসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এদিকে এলাকার মানুষজন তাদের প্রিয় নেতা এম নাসের রহমানকে কাছে পেয়ে একনজর দেখতে ভীড়জমান। এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ ময়মুরুব্বিগণসহ সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

এবং দেশের গনতন্ত্রহীনতা,ভোটাধিকার, দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি বিদ্যুৎ ও তেলের দাম বৃদ্ধিসহ বিএনপি ঘোষিত রাস্ট্রমেরামতের বিভিন্ন বিষয়ে খোলা মেলা আলোচনা করেন এবং বিগতদিনে আন্দোলন সংগ্রামে নির্যাতিত দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন ও সকলের কথা ধৈর্য সহকারে শুনে শান্তনা প্রদান করেন।

0Shares