প্রকাশিত: ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ময়লার ভাগাড় অপসারণের জন্য কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, বার্ডস রেডিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার কয়েকশ` শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন এবং সরকারি কলেজে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীদের দাবি প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে দ্রুত ময়লার ভাগাড় স্থানান্তর করতে হবে।
এরই প্রেক্ষিতে ময়লার ভাগাড় স্থানান্তরের বিষয়ে সোমবার (২২ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেছে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্যাডে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি যার স্মারক নং ৪৩/২৩/১৪৪০ এর মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসিন মিয়া বলেছেন, শিক্ষার্থীর দাবিকে প্রায়োরোটি দেয়ার লক্ষে আমিও দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই ময়লার ভাগাড়টি সরিয়ে উপজেলার জেটি রোডে নেয়ার জন্য প্রায় ২,৪৩৮৩ একর ভূমি ভাগাড় (ডাম্পিং ষ্টেশন) স্থাপনের জন্য অধিগ্রহনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু জায়গা নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ মামলা চলমান থাকায় ভাগাড়টি অপসারণের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আইনী জটিলতায় আটকে আছে। তাই এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। যাতে করে এ বিষয়টি নিয়ে অনাকাঙ্খিত পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্যই আমি সংবাদকর্মীর মাধ্যমে সর্বসাধারণকে অবহিত করেছি।
লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো বলেন, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কলেজ রোডস্থ ময়লার ভাগাড়টি (ট্রেঞ্চিংগ্রাউন্ড) পৌরসভার সৃষ্টিলগ্ন থেকে স্থাপিত ছিল। তখন উক্ত এলাকায় জনবসতি (বাসা বাড়ি) স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ছিল না। কালের বিবর্তনে উক্ত এলাকায় জনবসতিসহ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা স্থাপিত হলে আমি পৌরসভার চেয়ারম্যান/মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উক্ত এলাকার মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ভাগাড়টি অপসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পৌরসভার রাজস্ব দিয়ে ভাগাড়ের জন্য জমি ক্রয় করা সম্ভব নয় বিধায় বিশ্ব ব্যাংকের আওতায় নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ( UGIIP-II) মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার জন্য ভাগাড় নির্মানের (ডাম্পিং গ্রাউন্ড) ভূমি জয়ের অর্থ সংস্থান করা সম্ভব হয়। তাই ভাগাড় নির্মানের জন্য ভূমি ক্রয় করার বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার বরাবরে আবেদন করি।
তার প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেটি রোডে প্রায় ২,৪৩৮৩ একর ভূমি ভাগাড় (ডাম্পিং ষ্টেশন) স্থাপনের জন্য অধিগ্রহনের ব্যবস্থা গ্রহন করেন এবং অধিগ্রহনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অনুমোদন করা হয় এবং ভূমির মূল্য বাবদ ১,৮৪,১৩,৫৯০/- টাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা প্রদানের জন্য পত্র প্রেরণ করা হলে পৌরসভা উক্ত টাকা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে জমা প্রদান করা হয়। বিগত ১০/০৭/২০১৩ইং তারিখে জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার মহোদয়ের নির্দেশে ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা, মৌলভীবাজার উক্ত ভূমি পৌরসভাকে সমঝাইয়া দেন। উক্ত সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শ্রীমঙ্গল, সহকারী কমিশনার (ভূমি), শ্রীমঙ্গলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন । উক্ত ভূমি পৌরসভার নামে নামজারি করা হয়। উক্ত ভূমি সমঝানোর পর জনৈক ব্যক্তি স্থগিতাদেশ চাহিয়া মহামান্য হাইকোর্ট রিট পিটিশন দাখিল করেন এবং মহামান্য হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ মঞ্জুর করেন। বিগত ০৮/০২/২০১৭ইং তারিখ রিট পিটিশন মহামান্য হাইকোর্ট খারিজ করে দেন। বিগত ০৬/০৬/২০১৭ইং তারিখে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে পৌরসভার ডাম্পিং ষ্টেশনের জন্য জন্মকৃত জায়গায় সীমানা পিলার স্থাপনের কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। ঠিকাদার ইট, বালু, সিমেন্ট অন্যান্য মালামাল ও সরঞ্জামাদি ডাম্পিং ষ্টেশনে নিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজনসহ ৩নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব ভানু লাল রায় ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার মিয়া বাধা প্রদান করার ফলে কাজটি বন্ধ হয়ে যায় এবং কাজের সাইটের সকল মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে থানায় মামলা প্রদান করা হয়, মামলার বিষয়টি উদ্ধর্তন সকলকে অবহিত করা হয়। মামলার বিষয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। ৩ নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব ভানু লাল রায় মৌলভীবাজার রোডে জেটি রোড এলাকার সড়কের উপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য একটি পাকা গেইট নির্মাণ করেন। যাতে পৌরসভার কোন গার্ভেজ ট্রাক উক্ত এলাকার যেতে না পারে। বর্তমানে অধিগ্রহনকৃত ভূমি নিয়ে পরিবেশের ক্ষতি হবে মর্মে মহামান্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা রুজু করেন। মামলায় ৮ (আট) জনকে বিবাদী করা হয়। বিবাদী সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, ২নং বিবাদী সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়, শুনং বিবাদী মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ৪নং বিবাদী বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট, ৫নং বিবাদী জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার, ৬নং বিবাদী অতি:জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ৭নং বিবাদী ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মৌলভীবাজার, ৮নং বিবাদী মেয়র, শ্রীমঙ্গল পৌরসভা। এমতাবস্থায় ঠিকাদারের মালামাল লুটের বিষয়ে মামলা, মহামান্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ মামলা চলমান রয়েছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech