অবশেষে জুড়ীর বৃন্দারঘাট সেতুর কাজ শুরু

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৩

অবশেষে জুড়ীর বৃন্দারঘাট সেতুর কাজ শুরু

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :  নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে দীর্ঘ এক বছর ধরে বন্ধ থাকা মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বৃন্দারঘাট সেতুর কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার। কাজ সংশ্লিষ্ট মালামাল এনে বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু হয়। এ বিষয়ে সিলেটভিউসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

উল্লেখ্য- উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনুর্ধ ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জুড়ী নদীর উপর (কাপনাপাহাড়-কাশিনগর) ৬০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার বৃন্দারঘাট সেতু নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), জুড়ীর বাস্তবায়নে ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে ভোলার মেসার্স মনির ট্রেডার্স নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। তবে প্রিন্স এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজটি করছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু উক্ত সময়ে বৃন্দারঘাট সেতুর দুই দিকের গার্ডার (অ্যাপার্টমেন্ট ওয়াল) ঢালাই দিয়েই ঠিকাদার কাজ ফেলে রাখেন। ৩০ ভাগ কাজ করে বাকী ৭০ ভাগ কাজ বাকী রেখে প্রায় এক বছর কাজ বন্ধ ছিল।
দ্রুত কাজ শেষ করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তনমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ঠিকাদারকে একাধিকবার তাগিদ দেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ঠিকাদারকে বারবার পত্র দিয়ে কাজ শেষ করার কথা বলা হয়। কিন্তু ঠিকাদার নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করেন। সেতুর কাজ ফেলে রাখা ও জনভোগান্তি নিয়ে গত ২৩ মে সিলেটভিউ-য়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মানিক পট্টনায়ক দমন, কোমল বোনার্জী, কিশোর বোনার্জী, শাহ এমরান মিরন, আব্দুস সহিদ, প্রমেশ বাউরী, কিরণ বোনার্জী, দিলিপ বোনার্জী প্রমুখ বলেন- ঠিকাদারের আর্থিক লেনদেন ভাল না হওয়ায় কেহ তাকে মাল বাকী দিতে চায় না। এমনকি কোন শ্রমিক তার কাজ করতে রাজী হয় না। এসব কারণে পুনরায় কাজ বন্ধ হলে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলব। আমরা চাই দ্রুততম সময়ে সেতুর কাজ শেষ হোক।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), জুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বৃহস্পতিবার বলেন, সেতুর কাজ শুরুর জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে। কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সে জন্য সবার সহযোগিতা কাম্য।

0Shares