মৌলভীবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তরের আওতাধীন ১৮শ ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছাড়পত্র নবায়ন করেনি ১ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বছরের পর বছর রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২৩

মৌলভীবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তরের আওতাধীন ১৮শ ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছাড়পত্র নবায়ন করেনি ১ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে  বছরের পর বছর রমরমা ব্যবসা

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :  মৌলভীবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তরের আওতাধীন ১৮শ ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছাড়পত্র নবায়ন করেনি ১৫শ ৪৪টি প্রতিষ্ঠান। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর রমরমা ব্যবসা করছে। এদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানও করছে না অধিদপ্তরটি। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরেও কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না।জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য এ যাবৎ আবেদন করে ১৯শ ৫৭টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ছাড়পত্র পায় ১৮শ ৫৫টি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ছাড়পত্র নবায়ন করেছে ৪শ ১৩টি প্রতিষ্ঠান। নবায়ন করেনি ১৫শ ৪৪টি প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি ফি পরিশোধ করার পরেও সেলামি দিতে হয় অফিস স্টাফদের। সন্তুষ্টজনক সেলামি না দিলে নানা অজুহাত দেখিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করেন না তারা। যার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান নবায়ন থেকে বঞ্চিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৌলভীবাজার শহরের এক প্রাইভেট হাসপাতলের মালিক বলেন, সরকারি ফির বাহিরে অফিস স্টাফদের সন্তুষ্টজনক সেলামি দিতে হয়। তা না হলে তারা নানা সমস্যা দেখিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করেন না। আমি নিজেও সেলামি দিয়ে ছাড়পত্র নবায়ন করেছি।

একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ইটভাটা, করাতকলসহ বড়বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যার ফলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মো. মাঈদুল ইসলাম বলেন, নানা সমস্যার কারণে নবায়ন হয়নি এমন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। সেলামি ছাড়া নবায়ন হয় না বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, পরিবেশমন্ত্রীর এলাকায় এ রকম কোনো অনিয়মের সুযোগই নেই।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম  বলেন, আমি মৌলভীবাজারে নতুন যোগদান করায় বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।

0Shares