প্রকাশিত: ৩:০১ পূর্বাহ্ণ, জুন ৭, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বিশ্বনাথ উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তারই ভাই কয়ছর আলী। এমনকি কয়ছর তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, আইয়ুব আলীর স্ত্রী আছিয়া আইয়ুব মিনা।
লিখিত বক্তব্যে আছিয়া বলেন, ‘আমি একজন অসহায় ও দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত নারী। আমার স্বামী প্রায় ১ বছর আগে মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে আমার ১ ছেলে ও ২ মেয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে। আমার স্বামী আইয়ুব আলী মারা যাওয়ার আগে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে তারা তিন ভাই-বোনের মাঝে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে দেওয়া হয়। সেই বাটোয়ারানামায় স্বাক্ষরও করেন আমার দেবর যুক্তরাজ্য প্রবাসী কয়ছর আলী (৫২)। কিন্তু আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর তার ভাগের বসতবাড়ি ও জায়গা-জমিতে দৃষ্টি পড়ে কয়ছরের। তিনি তার মৃত ভাইয়ের রেখে যাওয়া এতিম ভাতিজা-ভাতিজির সম্পত্তি জবর দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
শুধু তাই নয়, কয়ছর বিদেশে অবস্থান করলেও তার ভাড়াটে জাহারগাওয়ের ওয়ারিছ খাসহ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নানাভাবে নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন হুমকিও দিচ্ছেন বলে অভিযোগ আছিয়া বেগমের।
আছিয়া বলেন, ‘কয়ছরের পক্ষে ওয়ারিছ খাঁ তার বাহিনী নিয়ে সম্প্রতি দুই দফা আমার উপর আক্রমণের চেষ্টা করেন। এর মধ্যে ৫মে রাজাকার ওয়ারিছ খাঁ তার বাহিনী নিয়ে আমার বাড়িতে এসে ঘর ভাড়া দেওয়া কয়েকটি পরিবারকে উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালান। এসময় তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ভাড়াটেদের ও আমাকে হুমকি-ধমকি দেন। এমনকি আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন ওয়ারিছ খাঁ। এছাড়া কয়ছরের আদেশে ১ জুন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওয়ারিছ বাহিনী আমাদের পরিবারের রাস্তাটি দখলের চেষ্টা চালায়। ওইদিন তারা রাস্তাটি মাটি কেটে ফেলে সেখানে দেয়াল নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়। আমি এতে বাধা দিতে গেলে আমাকে মেরে গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয় ওয়ারিছ খাঁ।’
আছিয়া বেগম আরও বলেন, ‘আমাদের জায়গার উপর নির্মিত দেয়াল ভেঙে ফেলারও চেষ্টা চালায় ওয়ারিছ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এসব ঘটনায় আমি আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করেছি। অথচ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই কয়ছরের ভাড়াটে বাহিনী আমার উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।’
সংবাদ সম্মেলনে আছিয়া বেগম, কয়ছরের নির্যাতন ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech