রোববার বিকেলে মার্কেটের অফিস কক্ষে কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষে এ ঘোষণা দেন সাধারণ সম্পাদক এম আতিকুর রহমান আখই।
সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজলের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আতিকুর রহমান আখই বলেন, কুলাউড়ায় সাম্প্রতিককালে চুরি-ডাকাতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনাসহ শহরে বসবাস করা রীতিমত অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, গত ১ জুন সকাল ৯টার দিকে মিলিপ্লাজার জুনেদ টেলিকম ও আপন টেলিকম দোকান থেকে সম্পূর্ণ ফিল্মি কায়দায় একটি ডাকাত চক্র প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও মালামাল দ্রুত উদ্ধারের আশ্বাস পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও আজ ১১ দিন অতিবাহিত হলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
এ ছাড়াও শহরের দক্ষিণ বাজারস্থ স্বর্ণা সুপারি আড়ৎ থেকে লক্ষাধিক টাকার সিগারেট, কয়ছর মোবাইল দোকান থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মোবাইল ফোন চুরিসহ সম্প্রতি পুনরায় ওই দোকান থেকে ৪টি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোডের আর সি ভেরাইটিজ স্টোরে সকাল ১১টার দিকে একটি ডাকাতচক্র দোকানে ঢুকে নগদ প্রায় লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণ এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে দেয় এবং একজন পালিয়ে যায়। হঠাৎ করে কুলাউড়ায় চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় এবং চোর-ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ, ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত।
আখই আরও বলেন, চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইসহ সামগ্রিক বিষয়ে সমিতির নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও থানার ওসির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে কুলাউড়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়ন, চোর-ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং চুরি হওয়া মালামাল দ্রুত উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চোর-ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল উদ্ধার না হলে আগামী মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ ঘটিকা পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে মিলিপ্লাজার সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ করে মার্কেটের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হবে। পরবর্তীতেও শহরব্যাপী আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।