বায়োগ্যাসে চুলায় রান্না হচ্ছে তিন বেলা

প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৩

বায়োগ্যাসে চুলায় রান্না হচ্ছে তিন বেলা

ডায়াল সিলেট ডেস্ক : কমলগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সংযোগ নেই। উপজেলার আদমপুর, ইসলামপুর, মাধবপুর, পতনঊষার, রহিমপুর, আলীনগর ইউনিয়ন এমনকি পৌর এলাকার সিংহভাগ মানুষ রান্নাবান্নায় জ্বালানি কাঠের উপর নির্ভরশীল।

তবে আদমপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। এ গ্রামের আমির আলী, ইউসুফ আলী, মুসলিম মিয়া, মিলন মিয়াসহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি ঘুরে দেখলাম জ্বালানি কাঠ ছাড়াই রান্না বান্না চলছে। স্থানীয় আর এম ডেইরি ফার্ম এর বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের মাধ্যমেই এ ব্যবস্থা বলে জানালেন তরুণ ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম।

আর এম ডেইরি ফার্মের উদ্যোক্তা মেহেরুন নেছা পুরো গ্রামের সব বাড়িতেই বায়োগ্যাসে চুলা জ্বালানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, খামারে দেড় শতাধিক গরু রয়েছে।

জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন শত শত লিটার দুধ সরবরাহ করা হয় এ খামার থেকে। আর গরুর বর্জ্য বা গোবর দিয়ে জ্বালানি গ্যাস ছাড়াও জৈব সার উৎপাদন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২২ টি বাড়িতে চুলা জ্বলছে। নিম্নবিত্ত পরিবারের গৃহিণী নাজমা আক্তার বলেন, গ্যাসের চুলায় রান্না করা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিলো।

এখন যখন দরকার সুইচ দিয়েই চুলায় রান্না বসাতে পারি। তার কথায় সুর মিলিয়ে গৃহিণী হুসনা বেগম, শাহনাজ পারভীন, লিপি বেগম, মুদি দোকানি সোনা মিয়া, আলতাফ হোসেনদের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা যায়, মাত্র ১২ শত টাকা মাসিক সার্ভিস চার্জে সারাদিন ইচ্ছেমতো চুলা জ্বালানো যায়। খরচও বাঁচে, ঝক্কি ঝামেলাও কম। আর নিরাপদ তো বটেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদাল হোসেন বলেন, জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় দুষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট বাস্তবসম্মত সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

0Shares