লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মানুষ উপজেলা শহরের কামিনীগঞ্জ বাজার ও ভবানীগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বেচাকেনা করেন। তাছাড়া শহরের ভিতর দিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করেন। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বার, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাতায়াত করেন।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, জুড়ী শহরের রেল সেতু থেকে কলেজ সড়কের আব্দুল আজিজ মেডিকেল সেন্টার, রেল স্টেশন সড়ক ও শিশুপার্ক সড়কের উভয় দিক দখল করে বসে আছে অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা আর স্থায়ী ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানের সামনে ড্রেনের উপর মালামাল দিয়ে দখল করে রেখেছেন। শিশুপার্ক সংলগ্ন জুড়ী সেতুর উপর দুই দিকে ভ্যানগাড়ি দিয়ে ভাসমান সবজি ও ফল ব্যবসায়ীরা দখল নিয়েছেন। এছাড়া উল্লেখিত সড়কের উপর সিএনজি, অটোরিকশা, পিকআপ, ভ্যান/ঠেলাগাড়ি, ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য গাড়ির চালকরা গাড়ি রেখে স্ট্যান্ড বানিয়ে ২০/৩০ ফুট প্রস্ত সড়ককে মেঠোপথ বানিয়ে ফেলেছেন। অবৈধভাবে গাড়ি, দোকান ও মালামাল দিয়ে সড়ক এবং ফুটপাত দখল করে রাখায় পথচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহরের বাইরে যানবাহনের জন্য নিরাপদ স্ট্যান্ড নির্মাণ, সরকার নির্ধারিত স্থানে ফুটপাতের দোকান স্থানান্তর করে ফুটপাত দখলমুক্ত করার মাধ্যমে জুড়ী শহরকে স্থায়ী ভাবে যানজটমুক্ত করে মানুষের দুর্ভোগ নিরসন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানানো হয়।