ট্রাভেল পাস পেয়েছেন বিএনপির সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত: ৩:০২ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২৩

ট্রাভেল পাস পেয়েছেন বিএনপির সালাহউদ্দিন

ফিরতে হবে ৩ মাসের মধ্যে

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভারতের ট্রাভেল পাস (টিপি) পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন তাঁকে এই পাস দিয়েছে। গুয়াহাটিতে অবস্থিত মিশন থেকে সোমবার রাতে টিপি হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

 

বিদেশ থেকে নাগরিকদের দেশে ফিরতে সাধারণভাবে কোনো অনুমতি নিতে হয় না। বৈধ পাসপোর্ট থাকলেই ফেরা যায়। তবে বৈধ পাসপোর্ট না থাকলে, কিংবা বিশেষ পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট আদৌ না থাকলে, সে ক্ষেত্রে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মিশন কোনো নাগরিককে দেশে ফিরতে নির্দিষ্ট মেয়াদের একমুখী ট্রাভেল পাস ইস্যু করে থাকে। তেমন একটি টিপিই পেয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ৮ জুন ইস্যু করা তিন মাস মেয়াদের এই টিপি অনুযায়ী তাঁকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরতে হবে।

 

ভারতে প্রায় আট বছর কখনো বন্দী এবং কখনো গৃহবন্দী থাকা সালাহউদ্দিন জানান, ফেরার জন্য কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে। এ ছাড়া দেশটিতে অবস্থানের সময় তাঁর দুটি বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। হার্টের অবস্থা ভালো না। গত পাঁচ বছর কোনো চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারেননি। আর দেশে ফেরার পর কী অবস্থা হয়, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এসব কারণে তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তারপর দেশে ফিরবেন।

 

বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে এক মামলার রায়ে শিলং জজ কোর্ট গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সালাহউদ্দিনকে খালাস দেন।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে ‘নিখোঁজ’ হন। তখন তিনি ছিলেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব। দলের পক্ষে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বেশ আস্থাভাজন নেতা হিসেবে দলে তাঁর পরিচিতি রয়েছে।

 

সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা তখন অভিযোগ করেন, তাঁকে গুম করা হয়েছে। দুই মাস পর ১১ মে মেঘালয়ের শিলং পুলিশ সালাহউদ্দিনকে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার করে। ভারতে প্রবেশের বৈধ কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্টে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় পুলিশ। সে বছর ২২ জুলাই এ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর বিচার শুরু হয়। প্রায় সাড়ে সাত বছর বিভিন্ন পর্যায়ে মামলাটি চলার পর চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট এক রায়ে তাঁকে খালাস দেন।

 

১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিনকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব করা হয়। ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি কক্সবাজারের একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ২০০১ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর সালাহউদ্দিন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

 

ভারতে অবস্থানকালেই দলটি তাঁকে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত করে।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ