লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগ, মাশুল দিচ্ছে জনগণ: মুক্তাদির

প্রকাশিত: ২:১৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২৩

লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগ, মাশুল দিচ্ছে জনগণ: মুক্তাদির

ডায়াল সিলেট ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, দেশ ক্রমশই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের দুর্নীতি আর লুটপাটের মাশুল দেশের সাধারণ মানুষকে দিতে হচ্ছে। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করলেও দেশে এখন বিদ্যুৎ যায়না বরং মাঝে মাঝে আসে। অবৈধ ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত করতে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করনের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস স্বাক্ষী সকল স্বৈরাচারী সরকারকেই কঠোর পরিনতি বরণ করতে হয়েছে। আওয়ামীলীগের জন্যও কঠিন পরিনতি অপেক্ষা করছে। পাতানো নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

 

তিনি মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা শুরুর পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। দেশব্যাপী লোডশেডিং, বিদ্যুতখাতে সরকারের দুর্নীতি, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধিনস্থ আদালত ও সরকারকর্তৃক অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় গণগ্রেপ্তার, পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতিরোধ সহ ১০ দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত পদযাত্রা কর্মসূচী বেলা ৩টায় নগরীর রেজিষ্টারী মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে উপশহরস্থ রোজভিউ পয়েন্টে গিয়ে সমাপ্ত হয়। কর্মসূচীতে সিলেট জেলা, মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন, ৪২টি ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

 

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পদযাত্রা কর্মসূচী পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী।

 

মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচীত পদযাত্রাপূর্বক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সৈয়দ মঈনুদ্দীন সোহেল, নজিবুর রহমান নজিব, জেলা সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফারুক, সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, সহ-সভাপতি শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন লস্কর, সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মাহবুব কাদির শাহী, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মতিউল বারী চৌধুরী খুর্শেদ, আফজাল উদ্দিন, আখতার রশিদ চৌধুরী, মহানগর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিনার খান হাসু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক সিনিয়র সহ-সভাপতি, এডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আবু তাহের, কোহিনুর আহমদ, আবুল কাশেম, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মকসুদ আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, মহানগর জাসাসের আহ্বায়ক তাজ উদ্দিন মাসুম, মহানগর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ, মহানগর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতিদের মধ্যে থেকে আমির হোসেন, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, বদরদ্দোজা বদর, মিজান আহমদ, নাজিম উদ্দিন, বাচ্চু মিয়া, লুৎফুর রহমান মোহন, মিজানুর রহমান মিঠু, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, সোয়াইবুর রহমান সোয়েব, আব্দুর রহিম মল্লিক, শেখ কবির আহমদ, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, নাদির খান, খায়রুল ইসলাম খায়ের, তারেক আহমদ খান, মির্জা বেলায়েত আহমদ লিটন, মহানগর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকদের মধ্য থেকে আব্দুল আজিজ লাকি, রফিকুল ইসলাম রফিক, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, মিনহাজ পাঠান, রুবেল বক্স, সুচিত্র চৌধুরী বাবলু, আবু সাঈদ মো. তায়েফ, আব্দুস সবুর রাসেল, এ.এসএম সায়েম, আব্দুল মান্নান, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, নজরুল ইসলাম, সুলেমান হোসেন সুমন, আব্দুল মালিক সেকু, রুম্মান আহমদ, কামাল আহমদ, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকির, সাব্বির আহমদ, ফয়েজ উদ্দিন মুরাদ, রাজীব কুমার দে, বেলাল আহমদ, কামাল আহমদ, জমজম বাদশা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক শামীম আহমদ, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, প্রচার সম্পাদক লোকমান আহমদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলী আকবর, ক্ষুদ্র ঋণ ও সমবায় সম্পাদক আলাউদ্দিন রিপন, গণশিক্ষা সম্পাদক আজিজুর রহমান, মৎস্য সম্পাদক জালাল খান, সহ-দপ্তর মাহবুব আলম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা স¤্রাট, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জীবন, মহানগর জাসাসের সদস্য সচিব রাসেল আহমদ রানা, মহানগর ওয়ার্ড বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে ছালেক আহমদ, নুরুল ইসলাম লিমন, মঈনুল ইসলাম মঈন, ফাহিম বক্স শিপু, আকবর হোসেন কয়ছর, ফরহাদ আহমদ, শফিকুর রহমান সুমন, আব্দুল মুমিন, মতিউর রহমান শিমুল, ইফতেখার আহমদ পাবেল, শহিদুর রহমান সানি, আদনান ইসলাম তানিম, মিজানুর রহমান রাসেল, সাইফুল আলম, আব্দুল মুনতাসির চৌধুরী সাব্বিহ, আবুল হোসেন, গিয়াস মিয়া ও রাসেল আহমদ খান, জেলা বিএনপি নেতা বাদশা আহমদ, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, মিফতাউল কবীর মিফতা, শাহীন আলম জয়, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী,আলাউদ্দিন আলাই, শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আহমদ সোলায়মান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, আক্তার হোসেন রাজু, জাহেদ আহমদ, শামসুর রহমান শামীম, জসিম উদ্দিন, আম্বিয়া চৌধুরী, ডা. এনামুল হক, নুরুল আমিন দুলু, রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, আফতাব উদ্দিন ও সুহেল ইবনে রাজা প্রমূখ।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, সরকার নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে আবারো দেশব্যাপী হামলা-মামলা, গণগ্রেফতারের হিংসাত্মক রাজনীতি শুরু করেছে। নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া মানুষ আজ না খেয়ে ধুকছে। আর সরকারের মন্ত্রী এমপিরা উন্নয়নের বুলি শুনিয়ে লুটপাট-দুর্নীতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। জনগণের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নাই। তারা গদি চায়, তারা ক্ষমতা চায় আর লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছাতে চায়। তাদের মধ্যরাতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে সরে পড়াই বাকশালী সরকারের জন্য ভালো। অন্যথায় জনরোষে ফ্যাসিস্ট সরকারের মসনদ ভেসে যাবে।

 

সভাপতির বক্তব্যে নাসিম হোসাইন বলেন, জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের ন্যায় বসে থাকা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিদায় ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে। জুলুম-নিপীড়ন ও ষড়যন্ত্র এবার কোনো কাজে আসবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ