ট্রাভেল পাসে দেশে ফিরতে বাধা নেই বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের

প্রকাশিত: ৩:১৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২৩

ট্রাভেল পাসে দেশে ফিরতে বাধা নেই বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের

 

 

 

ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: গত ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হওয়া সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে পুলিশ তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন তিনি ভারতের এক মানসিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

অবশেষে সোমবার (১২ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে তিনি বাংলাদেশের ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ট্রাভেল পাস পাওয়ায় দেশে ফিরতে আর বাধা নেই। তবে ভারত সরকারের কিছু নিয়ম রয়েছে। আদালতের কাগজপত্রসহ নানা আনুষঙ্গিক বিষয় বাকি রয়েছে তা শেষে তিনি যেকোনো সময় নিজ ইচ্ছায় দেশে ফিরতে পারবেন।

১৩ জুন মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যমে। এর আগে ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পাওয়ায় সালাহউদ্দিন আহমেদকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তবে সালাহউদ্দিন আহমেদ তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। দীর্ঘদিন উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ায় তিনি এখন ভারতে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। চিকিৎসার কাজ শেষ হলেই তিনি দেশে ফিরবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার সরকারপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আদালত পরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের জজ কোর্টের রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান বলে জানা গেছে।

 এদিকে পাসপোর্ট না থাকায় সালাহউদ্দিন দেশে ফিরতে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার আবেদন মঞ্জুর করে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গৌহাটিতে সহকারী হাইকমিশনকে জানায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ