প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক : কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেখা মেলে মহাবিপন্ন বাঁশপাতা গাছের। লাউয়াছড়া বনগবেষনা কেন্দ্রের সিলভি কালচার রিসার্চ বিভাগ সূত্রে জানা যায় যে এখানে মাত্র ৫ – ৭ টি গাছ রয়েছে।
বাঁশপাতা মূলত প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো দেশি প্রজাতির নগ্নবীজী উদ্ভিদের একমাত্র নরম কাঠের কনিফার বা মোচা আকৃতির ফলের পেনসিল কাঠের গাছ। একসময় প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বাঁশপাতাগাছ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং সিলেটের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বনে রয়েছে কয়েকটি বাঁশপাতা গাছ।
বাঁশপাতা বড় আকৃতির চিরসবুজ বৃক্ষ, উচ্চতায় সর্বোচ্চ ৪০ মিটার এবং বুকসমান উচ্চতায় গুঁড়ি–কাণ্ডের বেড় ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাতা বোঁটাহীন, পুরু, বল্লমাকৃতি, লম্বায় ১২ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার এবং চওড়ায় প্রায় সোয়া সেন্টিমিটার, কিনারা মসৃণ এবং আগা সুচাল। সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে এদের ভিন্ন ভিন্ন গাছে পুরুষ ফুল ও স্ত্রী ফুল ফোটে।
বাঁশপাতা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম (Podocarpus neriifolius) বিপদাপন্ন প্রজাতির একটি বিরল গাছ। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএনের ২০১০ সালের লাল তালিকা অনুসারে বাংলাদেশে বাঁশপাতা মহাবিপদাপন্ন প্রজাতির একটি বিরল বৃক্ষ এবং বৈশ্বিকভাবে অন্যতম বিপদগ্রস্ত উদ্ভিদ হিসেবে অভিহিত। ২০১২ সালে প্রণীত দেশের বন্য প্রাণী আইনেও বাঁশপাতাগাছ সংরক্ষিত উদ্ভিদ হিসেবে অভিহিত।
বাঁশপাতার কাঠ হালকা বাদামি রঙের, নরম, কম মজবুত ও কম টেকসই। আসবাব, ক্যাবিনেট তৈরি, কাঠ–পেনসিল, ছবি বাঁধাইয়ের ফ্রেম, হারমোনিয়ামসহ বাদ্যযন্ত্রের সরঞ্জামাদি, পরিমাপের স্কেল, শো–পিস, কাগজ তৈরির মণ্ড, ইত্যাদি তৈরিতে এ কাঠ ব্যবহার্য। বর্তমানে কাটিং বা কলম পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা হচ্ছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech