শেখ হাসিনার মমতা দেখে অভিভূত বিমানের যাত্রীরা

প্রকাশিত: ৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৩

শেখ হাসিনার মমতা দেখে অভিভূত বিমানের যাত্রীরা

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যার মহান হৃদয় ও মমতার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করলেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করছিলেন।

 

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফেরার পথে ফ্লাইটের যাত্রীরা বিস্মিত ও আনন্দিত হয়ে ওঠেন, যখন তারা দেখলেন যে, শেখ হাসিনা নিজেই তাদের সাথে দেখা করছেন। তিনি একের পর এক তাদের আসনে আসছেন ও বিমানের আরোহী সকলের সাথে কুশল বিনিময় করছেন।

 

শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইটে পরিপূর্ণ যাত্রীদের সাথে কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্লাইটে তাদের আসনের পাশে প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে অনেকেই বিস্মিত ও অবাক হয়েছেন।’

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনার সাথে ছবি তুলতে চাইলে তিনি অনেক যাত্রীর অনুরোধ মেনে নেন। তিনি বাচ্চাদের সাথেও খুব স্নেহের সাথে কথা বলেন ও তাদের সাথে কিছুক্ষণ মজার গল্প করেন এবং কয়েকটি শিশুকে কোলে তুলে নেন।

 

এ সময় কয়েকজন যাত্রী গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের অপ্রত্যাশিত উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

 

প্রধানমন্ত্রী ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’- এ যোগদান শেষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফিরেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট গতরাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

 

জেনেভা থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগদান শেষে শনিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফিরেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

 

ফ্লাইটটি এর আগে জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ১১.৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিট) যাত্রা করেছিল। এর আগে, ১৩ জুন, প্রধানমন্ত্রী সুইজারল্যান্ডে চার দিনের সরকারি সফরে জেনেভা যান।

 

১৪ জুন, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাসস্থানে সাক্ষাৎ করেন।

 

পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেইন বারসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সেখানে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বিকেলে, প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’ এর প্লেনারিতে ভাষণ দেন।

 

শেখ হাসিনা মাল্টার প্রেসিডেন্ট ডক্টর জর্জ ভেলার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন, এরপর আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও এর সদর দপ্তরে ডিজি কর্তৃক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেন।

 

১৫ জুন, তিনি ডব্লিউইএফ কার্যালয়ে এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একটি বৈঠকের পর ‘এ টক এট দ্য ডব্লিউইএফ’ এ যোগদান করেন। সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সন্ধ্যায়, ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক ড. ওকোনজো-আইওয়ালা তাঁর বাসস্থানে সাক্ষাৎ করেন। তিনি সন্ধ্যায় একটি সামাজিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।

 

‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩ : সকলের জন্য সামাজিক ন্যায়’ হলো সামাজিক ন্যায়বিচারকে সমর্থন করার জন্য বিস্তৃত, সমন্বিত এবং সুসঙ্গত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবেলায় সোচ্চারদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈশ্বিক ফোরাম। এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার একটি সুযোগ দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭ তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি স্বাগত জানিয়েছে। সম্মেলনে বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের অতিথিদের পাশাপাশি মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

 

দু’দিনের শীর্ষ সম্মেলনে আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব গড়তে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকা তুলে ধরে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে এবং নীতির সুসঙ্গততা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত এবং আরও ভালো ভাবে সমন্বিত যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ