প্রকাশিত: ১:০৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক : তীব্র দাবদাহে গত দুই সপ্তাহে সারাদেশসহ মৌলভীবাজার জেলার মানুষের জনজীবন অতিষ্ঠ ছিল। কর্মজীবন মুখ থুবড়ে পড়েছিলো। স্থবির হয়ে আসছিলো সাধারণ মানুষের জীবন। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হননি অনেকেই। যারা বাইরে বের হতেন, তারা জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়েই বাইরে যেতেন। তীব্র দাবদাহে এ জেলার মানুষের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিল। এখন রিমঝিম বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে এসেছে জনসাধারণের মাঝে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেশ কিছু জায়গায় লাগাতার গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। দিনের বেশিরভাগ সময় এমন লাগাতার রিমঝিম বৃষ্টি হওয়ায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে পেশাজীবী ও কর্মজীবী সহ শিক্ষার্থীদের।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, লাগাতার বর্ষণের ফলে শহরের টিসি মার্কেট, সেন্ট্রাল রোড, পশ্চিমবাজার, পূর্ব গীর্জাপাড়া সহ বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। অনেক এলাকায় সড়কে পানি দেখা গেছে।
জানা যায়, সকাল থেকে মেঘলা আকাশ ও দুপুরে হওয়া বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা ঠান্ডা হওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু এসময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে পেশাজীবী ও কর্মজীবীদের। স্কুলের ছাত্রছাত্রী সহ জরুরি কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষদের কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয়।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তৃপো, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সৌমিক আহমদ জানান, আমাদের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। বৃষ্টি-বাতাসে আবহাওয়া ঠাণ্ডা হওয়ায় লেখাপড়ায়ও মনোযোগী হওয়া যাচ্ছে। তবে সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্কুল কলেজ যাওয়ায় কষ্ট হচ্ছে, ভিজে স্কুলে যেতে হচ্ছে।
পৌর শহরে রিকশা চালান সায়েম আলী। তিনি বলেন, ‘কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টি। এখন দুপুর ১টায় বাজে, অন্যদিন একশত থেকে দুইশত টাকা রুজি হতো, কিন্তু আজ ষাট টাকা রুজি হয়েছে। আজ যাত্রীর সংখ্যা কম।’
সদর উপজেলার কদমহাটা গ্রামের আমীর হোসেন জানান, শেষ রাতে বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো। এখনও চলছে থেমে থেমে। সড়কে পানি, বাসার সামনে পানি। শহর কাজ ছিল, বৃষ্টির জন্য যেতে পারছিনা।
রাজনগর উপজেলার দত্তগ্রামের চঞ্চু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘জরুরী কাজে মটরবাইক চালিয়ে শহরে এসেছি। যেখানে শহরে আসতে পনেরো মিনিট লাগে, সেখানে আজ মুষলধারের বৃষ্টিতে ভিজে এক ঘন্টা লেগেছে।’
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী মো. আনিসুর রহমান জানান, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়াও আজ সারাদিন থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech