কুলাউড়ায় বোনকে ফিরে পেতে ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২৩

কুলাউড়ায় বোনকে ফিরে পেতে ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :  মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ২০ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী জুনাব আলীর স্ত্রী দিলারা বেগম। গত ৩ জুন উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের স্বামীর বাড়ি থেকে লাপাত্তা হয়েছেন।
এদিকে, স্বামীর পরিবারের লোকজন মারপিট করে দিলারা বেগমকে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ তার ভাই আবুল কালামের। তিনি তার বোন নিখোঁজের ব্যাপারে কুলাউড়া থানাসহ স্থানীয় লোকজনের কাছে অভিযোগ করে কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে আবুল কালাম ওরফে কুটন মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে জানান, তার ছোট বোন দিলারা বেগমের স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকেন। তাদের দুইটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতো দিলারাকে। তাদের টাকায় বিদেশেও যান দিলারার স্বামী জুনাব আলী।
কিন্তু বিদেশ যাওয়ার পরও যৌতুক চাওয়া বন্ধ হয়নি। এবার পরিবারের লোকজন নির্যাতন চালায়। পরিকল্পিতভাবে দিলারা বেগমে চরিত্রহীন সাজাতে ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও তার স্বামীর কাছে পাঠায়। তা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে জুনাব আলী একটি তালাকনামা পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ মে এলাকায় এক সালিশ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে দিলারা বেগমকে তার ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) আইয়ুব আলী, আকবর আলী ও আজবর আলীর জিম্মায় রাখা হয়। গত ৩ জুন রাত ১১ টায় দিলারা বেগমকে মারপিট করে অজ্ঞাতস্থানে লুকিয়ে রাখে। পরে বিষয়টি এলাকার লোকজনকে অবগত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
কর্মধার পূর্ব টাট্রিউলি এলাকার সাবেক মেম্বার রশিদ মিয়া, পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারি জালাল মিয়া, ইউনুছ মিয়া, জসিম মিয়া সর্দার, আব্দুল হান্নান, মছলু মিয়া ও নজরুল ইসলাম জানান, দিলারা বেগমকে তার ভাশুর (স্বামীর বড় ভাই) আইয়ুব আলী, আকবর আলী ও আজবর আলীর জিম্মায় রাখা হয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিবেন বলেও জানান। কিন্তু এর আগে হঠাৎ করে গৃহবধূ দিলারা বেগমকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একটি পক্ষ বিষয়টির সমাধান করতে চায় না।
অভিযুক্ত আইয়ুব আলী, আকবর আলী ও আজবর আলী জানান, আমরা আলাদা বাড়িতে থাকি। আমরা জিম্মা নিতে রাজি হইনি। কুটন মিয়া তার বোনকে আত্মগোপন করে রেখেছে। হয়রানি করতে নাটক সাজাচ্ছে। তারা চান, দিলারা বেগমকে উদ্ধার করলে বিষয়টি আসল রহস্য উদঘাটন হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করে কোনো ক্লু উদঘাটন করতে পারছেন না বলে জানান।

0Shares