প্রকাশিত: ২:০৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২৩
ডায়াল সিলেট রিপোর্ট :: টানা দুদিন সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখার পর বুধবার সকাল ৬টা থেকে পুরো সিলেটে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। তবে ঘোষণার ছয় ঘণ্টার মাথায় ‘প্রশাসনের আশ্বাসে’ সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সিলেটের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সংগঠনটি। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রমিক নেতারা। জেলা প্রশাসক শ্রমিকদের দুই দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, সিলেট-তামাবিল সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল এবং জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে গত দুদিন ধরে সিলেট-তামাবিল সড়কে আমাদের কর্মবিরতি চলছে। কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার ভোর থেকে পুরো সিলেট জেলায় পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সকল পরিবহন সংগঠন। তাই বুধবার থেকে সিলেটের কোনো রাস্তায় চলবে না কোনো ধরনের গাড়ি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তার ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটি আহুত এক সভায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাসের অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাই ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধের দাবি জানানো হয়। এরপর শনিবার জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলকারী বাসের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করেন। এসময় তারা লাইসেন্সবিহীন চালকদের গাড়ি আটকে দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কে ধর্মঘটের ডাক দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। সোমবার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দুদিন দুর্ভোগ পোহান এই সড়কের যাত্রীরা।
এদিকে, সোমবার রাতে ফের বৈঠক করে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা সালিশ কমিটি। এতে ৩টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেগুলো হচ্ছে- ১৭ পরগনার কাছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও বাস মালিক সমিতি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল, সিলেট-কানাইঘাট, সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বাস চলাচল করতে দেয়া হবে না।
মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে এবং বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যদি চলাচলে কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনতা তা প্রতিহত করবে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, সোমবার ১৭ পরগনার বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমাদের পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার পর জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech