প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২৩
ডায়াল সিলেট ডেস্ক: সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের শমশেরনগর স্টেশন এলাকায় কেটে ফেলা হচ্ছে প্রাচীনতম সাতটি গাছ। গত কয়েকদিন ধরে পুরনো ও বিশালাকৃতির গাছগুলো কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। স্থানীয়ভাবেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে স্টেশন মাস্টার দাবি করছেন গাছগুলো মারা যাওয়ায় উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কেটে জড়ো করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের সন্নিকটে বাসাবাড়ি সংলগ্ন দু’টি প্রাচীন গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দু’টি গাছ কাটা হলেও পর্যায়ক্রমে সাতটি বৃহদ গাছ কাটা হবে বলে শ্রমিকরা জানান। গাছগুলোর মধ্যে কাঁঠাল, শিমুল, আম ও বেলজিয়াম। এক একটি গাছের দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত অনেক বেশি। গাছগুলোর বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছর বা তারও বেশি হবে। এই গাছগুলোর সাথে বাকি গাছগুলোও কেটে ফেলা হচ্ছে। গাছের ডালপালাগুলোও বিক্রি করা হচ্ছে। গাছগুলো পরিবেশে অক্সিজেনের যোগান দিয়েছে। পরিবেশের মূল্যবান অবদান রাখলেও গাছ কাটার বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গাছগুলো বিক্রি করে ভাগবন্ঠন করে নেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রবীন শিক্ষক কবি শহীদ সাগ্নিক, পরিবেশ কর্মী আহাদ মিয়া বলেন, প্রাচীন গাছগুলো পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী। মৌখিক নির্দেশে কখনো গাছ কাটার নিয়ম নেই। মারা গেলেও কি কি প্রজাতির ও কতটি গাছ তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিয়েই কাটার কথা। অন্যতায় পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এব্যাপারে শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে মারা যাওয়া গাছগুলো কাটা হচ্ছে। কাটা গাছের খন্ডিত অশংপীকৃত করে রাখা হচ্ছে এবং এগুলো অকশনে বিক্রি হবে। কুলাউড়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) জুয়েল হোসাইন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ থাকার কারণে শমশেরনগর স্টেশন এলাকায় মরা গাছগুলো কাটার জন্য মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। আলমগীর হোসেন কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার) তারিখ: ২০.০৭.২০২৩ মোবাইল: ০১৭৩১৭১২৬৭১
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech