বড়লেখায় ইউপি সদস্য লাপাত্তা দেড় বছর

প্রকাশিত: ১:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২৩

বড়লেখায় ইউপি সদস্য লাপাত্তা দেড় বছর

ডায়াল সিলেট ডেস্ক:  বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাবুল আহমদ প্রায় দেড় বছর ধরে পলাতক রয়েছেন। টানা ১৬ মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভায় অনুপস্থিত। এতে জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ, উত্তরাধিকারী সনদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজও ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত তাকে (পলাতক ইউপি সদস্য সাবুল আহমদ) অপসারণ পূর্বক শূন্য ঘোষণা করে উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে ওই ওয়ার্ডে নতুন মেম্বার নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে ভুক্তভোগীরা দাবী জানিয়েছেন।
টানা ১৩ মাসের অধিক সময় ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভায় কোনো ইউপি সদস্য অনুপস্থিত থাকলে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ এর ৪(ক) এর পরিপন্থী হওয়ায় তাকে স্বীয় পদ থেকে অপসারণের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে প্রায় ১৬ মাস ধরে পরিষদের মাসিক সভায় অনুপস্থিত সত্ত্বেও ইউপি সদস্য (পলাতক) সাবুল আহমদকে অপসারণ করা হয়নি।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ এপ্রিল কেছরীগুল জামে মসজিদে ইমাম নিয়ে শরফ উদ্দিন নবাব ও গ্রামের মুরব্বি জামাল উদ্দিনের ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার জেরে আসরের নামাজের পর সাবেক ইউপি মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাব, তার ভাই ইউপি মেম্বার সাবুল আহমদ (পলাতক), আবু হোসেন, সাইফুল ইসলাম, দুলাল হোসেন, ইমন আহমদ, সালমান আহমদ প্রমুখ কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রুবেল আহমদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এই খুনের ঘটনায় নিহতের ছোটোভাই ফয়ছল আহমদ ইউপি সদস্য সাবুল আহমদকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার দিন থেকেই ইউপি সদস্য সাবুল আহমদ পলাতক রয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জুয়েল জানান, এই ওয়ার্ডটি ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ ওয়ার্ড। সরকার ঘোষিত সকল কর্মসূচি এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় উপকার ভোগীদের তালিকা যাচাই বাচাই, নাগরিক সেবা নিশ্চত করণে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের নির্ধারিত দায়িত্ব আছে। উনার অনুপস্থিতির কারণে নাগরিক সনদ প্রদানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সঠিক কিনা, উত্তরাধিকার সনদে বর্ণিত সকল উত্তরাধিকারের তালিকা সঠিক কিনা তা সনাক্তকরণে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা এবং এলাকার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড উনি না থাকার কারণে দারুনভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে ওয়ার্ডের জনগণ ভোগান্তির শিকার ও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একাধিকবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি দায়িত্বে অনুপস্থিত ইউপি সদস্য সাবুল আহমদকে স্বীয় পদ হতে অপসারণের জন্য সর্বশেষ গত ১২ জুলাই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ