মৌলভীবাজারে সার, বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বর্জ্য থেকে

প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৩

মৌলভীবাজারে সার, বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বর্জ্য থেকে

ডায়াল সিলেট ডেস্ক: মানুষের বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসি ইত্যাদির বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে জৈবসার ও বায়োগ্যাস। এ ছাড়া প্লাস্টিক, পলিথিন ও ইলেকট্রিক বর্জ্য রিসাইকেল করে পুনরায় ব্যবহার করার উপযোগী করা হবে। যা সিলেট বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র মৌলভীবাজার পৌরসভাকে এ প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছে।দেশের চারটি সিটি করপোরেশন ও ১৭টি পৌরসভা, ৩টি সিটি করপোরেশন এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। অর্থায়ন করছে এশিয়ান ইনফাস্টাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)।চলতি অর্থবছরেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। মৌলভীবাজার পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পৌরসভা সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোজেক্ট অন ইন্টিগ্রেটেড সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’-এর আওতায় দেশের চারটি সিটি করপোরশেন ও ১৭টি পৌরসভা রয়েছে বর্জ্য থেকে জৈবসার ও বায়োগ্যাস তৈরি প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পটির অর্থায়ন করছে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)।পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘মৌলভীবাজার পৌর এলাকায় মোট জনসংখ্যা ৭৯ হাজার ৬৯৮ জন। বর্তমানে পৌর এলাকায় প্রতিদিন বর্জ্য উৎপাদন হয় প্রায় ২৯ টন, যার মধ্যে ৮৩ শতাংশ বাসাবাড়ির খাদ্য বর্জ্য আর ১৭ শতাংশ হলো পলিথিন, প্লাস্টিক, ইলেকট্রিক এবং মেডিকেল বর্জ্য। এগুলো আলাদা করে ধরন অনুযায়ী তৈরি করা হবে জৈবসার ও বায়োগ্যাস।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক যুগ পর অর্থাৎ ২০৩৫ সালে সেটা হবে কমপক্ষে ৩৫ টন। ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ হাট বসিয়ে সপ্তাহে এক দিন প্রতি কেজি ৫০ টাকা মূল্যে পৌর নাগরিকদের কাছ থেকে পরিত্যক্ত পলিথিন কেনা শুরু করেছে। ‘শহরের ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখা ও পরিবেশ সংরক্ষণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ যোগ করেন—মেয়র।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ